শিক্ষকের যৌন হয়রানির প্রতিবাদে নিজের শরীরে আগুন দিলেন শিক্ষার্থী

ভারতের ওড়িশা রাজ্যের বালেশ্বরে এক কলেজ ছাত্রী তার বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। শনিবার (১২ জুলাই) এই মর্মান্তিক ঘটনায় ওই ছাত্রী গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। এসময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে আরেক সহপাঠীও আহত হয়েছেন। খবর এনডিটিভির।
ফকির মোহন কলেজের ওই ছাত্রী অভিযোগ করেন, তার বিভাগীয় প্রধান সমীর কুমার সাহু দীর্ঘদিন ধরে তাকে যৌন সুবিধা দিতে চাপ দিচ্ছিলেন। রাজি না হলে তার ভবিষ্যৎ নষ্ট করার হুমকিও দিচ্ছিলেন। ছাত্রীটি গত ১ জুলাই কলেজের অভিযোগ কমিটির কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, সাত দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
আজ ছাত্রীটি অন্য কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে কলেজের গেটের বাইরে প্রতিবাদ শুরু করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ করেই ছাত্রীটি অধ্যক্ষের অফিসের কাছে ছুটে যান। এরপর নিজের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, জ্বলন্ত অবস্থায় ছাত্রীটি কলেজের করিডোরে দৌড়ে যাচ্ছেন। একজন তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তার পোশাকেও আগুন লেগে যায়। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।

কলেজের অধ্যক্ষ দিলীপ ঘোষ জানান, ছাত্রীর অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছিল। এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল।
পুলিশ সুপার রাজ প্রসাদ জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক সমীর কুমার সাহুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সবার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আগুনে দগ্ধ ছাত্রী ও তাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত সহপাঠী বর্তমানে ভুবনেশ্বরের এইমস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ছাত্রীটি ৯৫ শতাংশ ও তার সহপাঠী ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন।