বিয়ের তৃতীয় দিনেই স্বামীর নিষ্ঠুরতার শিকার, কোমায় তরুণী

পাকিস্তানে ১৯ বছর বয়সী এক নববিবাহিতা তরুণী স্বামীর পাশবিক যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে কোমায় রয়েছেন। এ ঘটনায় তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৯ জুলাই) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
পুলিশ সার্জন ডা. সুমাইয়া সৈয়দ বলেন, ‘পরিবার ও পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ১৯ বছর বয়সী ওই তরুণীর বিয়ে হয়েছিল ১৫ জুন লিয়ারিতে। সে এখন কোমায় আছে। তার শারীরিক পরীক্ষার ফলাফল যৌন সহিংসতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
গত ৫ জুলাই বাগদাদি থানায় ৩২৪ ধারা এবং পাকিস্তান দণ্ডবিধির ৩৭৬-বি (ধর্ষণের শাস্তি) ধারায় অভিযোগ (এফআইআর) দায়ের করেন ভুক্তভোগীর ভাই, যিনি লিয়ারির বাগদাদির শাহ বেগ লেনের বাসিন্দা।
এফআইআরে অভিযোগকারী উল্লেখ করেন, ‘বিয়ের তৃতীয় দিনে আমার বোন তার স্বামী দ্বারা নির্মম যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে। তাকে প্রথমে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছিল এবং পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে করাচির সিভিল হাসপাতালের শহীদ মোহতারমা বেনজির ভুট্টো ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।’
অভিযোগকারী এফআইআরে আরও উল্লেখ করেন, “আমার ১৯ বছর বয়সী বোন ১৫ জুন ওই ব্যক্তিকে বিয়ে করে স্বামীর বাড়িতে যায়। ৩০ জুন তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে, যার ফলে তাকে আমরা বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হই। সে (ভুক্তভোগী তরুণী) বাবা-মাকে জানায়, ১৭ জুলাই তার স্বামী তাকে ‘অপ্রাকৃতিক যৌনক্রিয়া’ করতে বাধ্য করেছে।”
এতে আরও বলা হয়, ওই তরুণীর স্বামী তাকে একটি বিদেশি বস্তু দিয়ে যৌন নির্যাতন করেছে। একপর্যায়ে তার রক্তপাত হয়। ওই তরুণীকে তার স্বামী হুমকি দিয়েছিলেন, কাউকে কিছু জানালে তার ‘ভয়াবহ পরিণতি’ হবে।

এফআইআরে অভিযোগকারী আরও জানান, তার বোনের অবস্থার অবনতি হলে পরিবার তাকে গার্ডেন রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়, কিন্তু কোনো উন্নতি দেখা যায়নি। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আবার ভুক্তভোগীকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে ৪ জুলাই তাকে ট্রমা সেন্টারে আনা হয়, যেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) বা ভর্তি করা হয়।
পুলিশের উপমহাপরিদর্শক সৈয়দ আসাদ রাজা বলেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।