আইনে পরিণত হওয়ার পথে ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল’ বাজেট বিল

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ‘বিগ এন্ড বিউটিফুল’ কর ও ব্যয় বাজেট বিলটি এখন প্রতিনিধি পরিষদে (হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস) ফিরে এসেছে। যা আইনে পরিণত হওয়ার পথে আরও এক ধাপ অতিক্রম করল। আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে আইনপ্রণেতাদের চূড়ান্ত সংস্করণটি ট্রাম্পের কাছে পেশ করা হবে। খবর বিবিসির।
স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার (১ জুলাই) সিনেটে (কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ) বিলটি অত্যন্ত অল্প ব্যবধানে পাস হয়েছে। ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিতর্ক ও কিছু রিপাবলিকান সিনেটরের তীব্র বিরোধীতার পর ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের টাই-ব্রেকিং ভোটে বিলটি অনুমোদন লাভ করে।
তবে ট্রাম্পের মিত্রদের জন্য হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে বিলটি পাস করানো সমান চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। হাউসের স্পিকার মাইক জনসন আজ (বুধবার) একটি ভোট আয়োজনের আশা করছেন। গত মে মাসে হাউস বিলটির একটি পূর্ববর্তী সংস্করণ মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে অনুমোদন করেছিল। সিনেটে সংশোধিত এই বিলটিকে এখন হাউসকে অনুমোদন করতে হবে।
উভয় কক্ষই ট্রাম্পের রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও দলের অভ্যন্তরে বেশ কয়েকটি উপদলে বিভক্ত। বিলের মতবিরোধের প্রধান বিষয়গুলো হলো- বিলটি মার্কিন জাতীয় ঘাটতি কতটা বাড়াবে এবং স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য সামাজিক কর্মসূচিতে কতটা কাটছাঁট করবে। কংগ্রেশনাল বাজেট অফিস (সিবিও) অনুমান করেছে, সিনেটের এই বিলটি ২০২৫ থেকে ২০৩৪ সালের মধ্যে প্রায় ৩ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার ফেডারেল ঘাটতি বাড়াবে।

এই বিলটির তাৎক্ষণিক ভবিষ্যৎ এখনও স্পষ্ট নয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চান, হাউস কেবল সিনেটের সংস্করণটি কোনো পরিবর্তন ছাড়াই অনুমোদন করুক। কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট ইস্যুতে এবং বিদ্রোহী রিপাবলিকানদের বিরোধিতার কারণে এই প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে। ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বাজেট’ শেষ পর্যন্ত আইনে পরিণত হতে পারবে কিনা, তা এখন হাউসের ভোটের ওপরই নির্ভর করছে।