যুদ্ধ-সংঘাতে সুদানের ৪০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত, জাতিসংঘের উদ্বেগ

সুদানে সংঘাত শুরুর পর থেকে ৪০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৩ জুন) এই সংখ্যাকে ‘বিধ্বংসী মাইলফলক’ হিসেবে উল্লেখ করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআর সতর্ক করে জানিয়েছে, দেশটিতে যুদ্ধ চলতে থাকলে মানুষের এই অব্যাহত বাস্তুচ্যুতি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলবে।
২০২৩ সালে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যুদ্ধে লিপ্ত হয় সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। এই সংঘাতে নিহত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। তৈরি হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ক্ষুধা ও বাস্তুচ্যুতি সংকট।
ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র ইউজিন বাইন জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ৪০ লাখ মানুষ সুদান থেকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে গেছে। এটি বিশ্বের যেকোনো বাস্তুচ্যুতি সংকটের মধ্যে বিধ্বংসী মাইলফলক। যদি সংঘাত চলতে থাকে, তাহলে আরও হাজার হাজার মানুষ পালাতে থাকবে, যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতাকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে।’
ইউএনএইচসিআরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত ৪০ লাখ ৩ হাজার ৩৮৫ জন মানুষ শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে সুদান থেকে পালিয়েছে। তাদের মধ্যে ১৫ লাখ মানুষ মিসরে; ১১ লাখের বেশি দক্ষিণ সুদানে এবং ৮ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি প্রতিবেশেী দেশ চাদে আশ্রয় নিয়েছে।
পূর্ব চাদের মানবিক জরুরি অবস্থার বর্ণনা দিয়েছে ইউএনএইচসিআর। তারা বলেছে , যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পূর্ব চাদে সুদানি শরণার্থীদের সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। সংঘাত শুরু হওয়ার আগে থেকেই দেশটি লাখের বেশি সুদানি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিল, যার বর্তমানে সংখ্যা ১২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।

চাদের বর্তমান পরিস্থিতিতে ‘সক্ষমতার বাইরে অসহনীয় চাপ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন দেশটিতে কর্মরত ইউএনএইচসিআরের সমন্বয়কারী ডসসু প্যাট্রিস আহুয়ানসু। তিনি জানান, গত এপ্রিল থেকে উত্তর দারফুর অঞ্চলে বাস্তুচ্যুতি শিবিরগুলোতে লোকজনের ঢল নেমেছে। এই বেসামরিক নাগরিকরা আতঙ্কে পালিয়ে আসছে।