কারা টমেটো খেতে পারবেন না?

টমেটো আমাদের নিত্যদিনের খাবারে ব্যবহৃত হয়। মাছ-মাংস রান্না করার সময় এর ব্যবহার দেখা যায়। এ ছাড়া, টমেটোর চাটনি, সস বা সালাদ যেকোনো খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয়। তবে এই সুস্বাদু খাবার খাওয়ার কিছু বিধিনিষেধও রয়েছে। তাই অনেকেরই টমেটো খাওয়া এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
অ্যাসিডিক খাবারের প্রতি সংবেদনশীলতা
এমবিবিএস এবং সার্টিফাইড পুষ্টিবিদ ডাক্তার রোহিনী পাতিল টাইমস অব ইন্ডিয়ায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “সংবেদনশীল পেটের ব্যক্তিদের টমেটো থেকে দূরে থাকা উচিত। অ্যাসিডিক ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য টমেটোর প্রাকৃতিক অ্যাসিডিটি অস্বস্তি বা জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। টমেটোতে থাকা উচ্চ অ্যাসিডিটি পেটের অবস্থা আরও খারাপ করতে পারে। টমেটো খাওয়ার পরে বদহজম বা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অস্বস্তির মতো লক্ষণগুলো অনুভব করলে, এটি খাওয়া এড়িয়ে চলুন। টমেটো রান্না করার সময় এর বীজ অপসারণ করে নিন। এতে অ্যাসিডিটি কমাতে সহায়তা করতে পারে”।
কিডনিতে পাথর
কিডনিতে পাথর থাকলে টমেটো খাওয়া এড়িয়ে চলুন। টমেটোতে অক্সালেট নামক একটি পদার্থ থাকে। যা সংবেদনশীল ব্যক্তিদের মাঝে অক্সালেট পাথর গঠনে অবদান রাখতে পারে। তবে কিডনিতে পাথর হওয়ার কোনো ইতিহাস না থাকলে, টমেটো এড়ানোর দরকার নেই।
অ্যালার্জি
ডাক্তার পাতিল বলেন, “টমেটোতে অনেকেরই অ্যালার্জি থাকতে পারে। এর লক্ষণগুলো হালকা থেকে গুরুতর পর্যন্ত হতে পারে। চুলকানি, ফোলাভাব বা অ্যানাফিল্যাক্সিস অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। খাবার খাওয়ার সময় এর উপাদান সম্পর্কে জেনে নিন। কারণ টমেটো বিভিন্ন খাদ্য পণ্য এবং সসে ব্যবহৃত হয়” ।
ওষুধের মিথস্ক্রিয়া
টমেটোতে এমন কিছু যৌগ রয়েছে যা নির্দিষ্ট ওষুধের সাথে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। টমেটোতে ভিটামিন কে থাকে যা ওষুধের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই এটি খাওরায় আগে চিকিৎসকের সাথে কথা বলে নিন।
সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া