বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই ঘরবন্দি ছিলেন মুকুল দেব

বাবা-মায়ের মৃত্যুর পরে গুটিয়ে নিয়েছিলেন নিজেকে, ঘর থেকেও বেরোতেন না। নিজেও চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বলিউড অভিনেতা মুকুল দেব মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। ভারতীয় গমাধ্যমের খবর, শুক্রবার গভীর রাতে দিল্লিতে মৃত্যু হয় তাঁর। বেশ কিছু দিন ধরেই তিনি শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
মুকুলের মৃত্যুর খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রথম জানান অভিনেতা মনোজ বাজপায়ী। মুকুল দেবের অকস্মাৎ মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে বলিউডে।
মুকুল দেবের সহ-অভিনেতা বিন্দু দারা সিং ‘সন অফ সর্দার’ তাঁর সঙ্গে কাজ করেছিলেন, তিনি এই দুঃসংবাদ নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘মুকুলকে আর বড় পর্দায় দেখা যাবে না—ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে। মা-বাবার মৃত্যুর পর থেকে ও একেবারে গুটিয়ে গিয়েছিল। কারও সঙ্গে দেখা করত না, ঘরের বাইরে বেরোত না। শেষ কয়েক দিনে ওর শারীরিক অবস্থা অনেকটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তি ছিল। রাহুল এবং ওকে চেনা-ভালবাসা করা সকলের প্রতি রইল আমার সমবেদনা। ও অসাধারণ একজন মানুষ ছিল। আমরা সবাই ওকে মিস করব।’
মুকুল দেবের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অভিনেত্রী দীপশিখা নাগপাল জানিয়েছেন, ‘মুকুল কোনওদিনই কারও সঙ্গে নিজের স্বাস্থ্যের কথা শেয়ার করত না। আমাদের বন্ধুবান্ধবদের একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে, সেখানে প্রায়ই কথা হত। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে যখন ওর মৃত্যুর খবর পেলাম, তখন থেকেই ওকে ফোন করছি, ভেবেছিলাম ও-ই ধরবে…’
১৯৯৬ সালে ‘দস্তক’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন মুকুল। মুম্বাইয়ের টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি থেকে ফিল্মি দুনিয়ায় অতি পরিচিত মুখ মুকুল। কাজ করেছেন পাঞ্জাবি, দক্ষিণী সিনেদুনিয়াতেও। ‘সন অফ সর্দার’, ‘ইয়ামলা পাগলা দিওয়ানা’, ‘আর রাজকুমার’ এবং ‘জয় হো’ সহ একাধিক হিন্দি ও আঞ্চলিক ভাষার সিনেমায় অভিনয় করেছেন মুকুল। টেলিভিশনেও তিনি ‘ঘরওয়ালি উপরওয়ালি’, ‘কাহানি ঘর ঘর কী’র মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। এমনকী বাংলা বেশকিছু সিনেমাতে খল নায়কের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তার মধ্যে অন্যতম জিৎ এর ‘আওয়ারা’।