টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে কি সুসময় ফিরবে টাইগারদের?

ক্রিকেটে বাংলাদেশ একটা খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজে হেরেছে বাংলাদেশ। আগের দুটি সিরিজেই আশা জাগিয়ে পরে হতাশ করেছে টাইগাররা। এবার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে কি সুসময় ফিরবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে? শ্রীলঙ্কার মাটিতে বাংলদেশের অতীত পরিসংখ্যান দেখলে হতাশা কাটিয়ে কিছুটা আশাবাদী হওয়া যায় এই সংস্করণে।
পাল্লেকেলেতে আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। টি-স্পোর্টস খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাদের ঘরের মাঠে এখন পর্যন্ত ৫টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের থেকে বাংলাদেশের সফলতার হার বেশি এখানে। টাইগাররা ৩টি ম্যাচে জয়ের বিপরীতে ২ ম্যাচে হেরেছে।
আগের দুটি সংস্করণের থেকে এই সংস্করণটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। ২০ ওভারের ক্রিকেটে পাল্লেকেলের ব্যাটিং উইকেটে লড়াইটাও বেশ জমে উঠবে। দুদলই চাইবে শুরুতে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে সংগ্রহটা বড় করতে। বোলিংয়ে পেসাররা কিছুটা সুবিধা পায়। এই মাঠে ২০১৩ সালে মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একমাত্র টি-টোয়েন্টি খেলে বাংলাদেশ, তবে সেই ম্যাচটি বাংলাদেশ হেরে যায়।
এবার হয়তো জয় দিয়েই ফিরতে চাইবেন লিটনরা। টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে হারের পর বাংলাদেশের অধিনায়ক এই ফরম্যাটে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার কথাই বলেছেন। গতকাল ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি সিরিজ টি-টোয়েন্টি সিরিজের জায়গায় আছে। এটি আলাদা সংস্করণ। সবাই জানে এই সংস্করণে কীভাবে খেলতে হয়, আমরাও সেটাই চেষ্টা করব। অবশ্যই চেষ্টা করব, তবে সহজ হবে না। তারা তাদের ঘরের মাঠে বেশ ভালো। আমরা চেষ্টা করব আমাদের শতভাগ দিয়ে খেলার। বাকিটা দেখা যাক।’
আগের দুই টি-টোয়েন্টি সিরিজের কথা চিন্তা করলে বাংলাদেশের এই ফরম্যাটকে নিয়ে খুব একটা আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই। এ বছরের মে মাসে শারজায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জয়ের পরও ২-১ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এরপর পাকিস্তান সফরে গিয়ে সেখান থেকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়ে ফিরেছে।
২০২৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এ বছরের সেপ্টেম্বরে রয়েছে এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপের এবারের আসর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হওয়ার কারণে এশিয়া কাপও হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে।
বিশ্বকাপের আগে এই ফরম্যাটে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার ভালো সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর ঘরের মাঠে পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ টি করে মোট ৯টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।