টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তি নাকি টেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন?

আইসিসির বড় কোনও টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকার নাম শুনলেই ভক্ত-সমর্থকদের মনে ‘চোকার’ শব্দটা চলে আসে। শিরোপার খুব কাছে থেকে ফিরে আসা দল তারা। সেমিফাইনাল কিংবা ফাইনালে গিয়ে হারার রেকর্ড আছে বহুবার। ১৯৯৮ সালে মিনি বিশ্বকাপের পর আর কোনও ট্রফি জিততে পারেনি প্রোটিয়ারা।
ঐতিহাসিক লর্ডসে ফাইনালের এখনও পুরো দুই দিন বাকি, হাতে আছে ৮ উইকেট, দরকার মাত্র ৬৯ রানের। বাভুমা-মার্করাম তাই চাইবেন ঠান্ডা মাথায় এবার খেলে জয়টা নিশ্চত করতে। ক্রিকেটের সবচেয়ে পুরানো সংস্করণ টেস্ট ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে জিতে চোকার তকমাটা হয়ত এবার ঘুচে যেতেই পারে দক্ষিণ আফ্রিকার।
সর্বশেষ আইসিসির বড় তিনটি টুর্নামেন্টের মধ্যে ২০২৪ সালে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে, ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এবং সর্বশেষ ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিতে নিউজিল্যোন্ডের বিপক্ষেও হারের স্বাদ পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রোটিয়ারা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২০২৩-২৫ চক্রের ফাইনালে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে। আজ (১৪ জুন) বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে এসে লাল বলের শ্রেষ্ঠেত্ব অর্জন থেকে আর মাত্র ৬৯ রান দূরে টেম্বা বাভুমার দল। গত আসরের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লর্ডসের ফাইনালের চতুর্থ দিনে এসে ফেভারিট তারাই। ২৮২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় উইকেটে মার্করাম-বাভুমার ১৪৩ রানের জুটিতে ২ উইকেটে ২১৩ রানে তৃতীয় দিন শেষ করে প্রোটিয়ারা।
কিন্তু সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে প্রায় জিতে যাওয়া ম্যাচটি তারা হেরে বসেছে। শেষ ৩০ বলে ৩০ রান লাগতো তখনও উইকেটে ছিলেন ফর্মে থাকা ক্লাসেন এবং মিলার। দুইজনই সেট ব্যাটসম্যান, মনে হচ্ছিল প্রোটিয়ারা এবার শিরোপার স্বাদ পেতে যাচ্ছেন। কিন্তু ১৬.১ ওভারে এসে ক্লাসেন-মিলারের ৪৫ রানের জুটি ভাঙলে ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ৭ রানে হেরে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।