হামজার গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেল বাংলাদেশ

বাংলাদেশের জার্সিতে হামজার চৌধুরীর প্রথম গোলে ভুটানের বিপক্ষে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেলো বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে প্রথমার্ধ শেষে সফরকারী ভুটানের বিপক্ষে ১-০ গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে হেডে দুর্দান্ত গোলটি করেন দেশের ফুটবলের এই পোস্টারবয়।
দীর্ঘদিন পরে জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলতে নেমে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে বাংলাদেশ। বারবার দুই উইং ধরে আক্রমণে উঠে ভুটানের রক্ষণে ভীতি ছাড়িয়েছে জামাল-রাকিবরা।
প্রথমার্ধে ৬০ শতাংশ বল দখলে রেখে গোলের জন্য মোট আটটি শট নেয় বাংলাদেশ। এর মধ্যে লক্ষ্যে রাখতে পারে ৩টি। বিপরীতে ৪০ শতাংশ বল পায়ে রেখে একটি শট নিতে পারে ভুটান। সেটাও ছিল না লক্ষ্যে।
দাপুটে ফুটবল খেলা বাংলাদেশকে ফল পেতে বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে কর্নার পেয়ে যায় বাংলাদেশ। জামাল ভূঁইয়ার নেওয়া কর্নার থেকে লাফিয়ে উঠে দুর্দান্ত হেডে ভুটানের গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন হামজা চৌধুরী। গোলরক্ষক বলের লাইনে ঝাঁপিয়ে পড়লেও কিছুই করার ছিল না তার।
এগিয়ে যাওয়ার পরও একই গতিতে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। বেশ কয়েকটি আক্রমণ শানায় জামাল-ফাহমিদুলরা। যদিও সেগুলো থেকে আর গোল আদায় করতে পারেনি হাভিয়ের কাবরেরা দল।
ম্যাচের ২৯তম মিনিটে বক্সের মধ্যে থেকে নেওয়া জামাল ভূঁইয়ার শট চলে যায় বাইরে দিয়ে। ৩২তম মিনিটে বাম উইংয়ে বল পেয়েছিলেন রাকিব হোসাইন। সেটাকে ক্লিয়ার করতে বক্স থেকে বেড়িয়ে গিয়ে মিস করেন ভুটানের গোলরক্ষক। বক্সে ক্রস বাড়ান রাকিব। কিন্তু সেটা রিসিভ করে ফাঁকা জালে পাঠানোর কেউ ছিল না।
এর দুই মিনিট পরে গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিল বাংলাদেশ। মাঠের ডানপ্রান্ত থেকে ক্রস বাড়ান তাজ উদ্দিন। সেটাকে রিসিভ করে ছয় গজ বক্সে শট নেন জামাল ভূঁইয়া। কিন্তু জামালের সেই শট আটকে যায় ভুটানের এক ফুটবলারের গায়ে লেগে।
ম্যাচের ৪৩তম মিনিটে অবশ্য নিজেদের অর্ধে বল দেওয়া-নেওয়া করতে গিয়ে গোলমাল পাকিয়ে বসেছিলেন বাংলাদেশ। এরপর বল ক্লিয়ার করে সেটাকে বিপদ মুক্ত করেন তপু বর্মণ।
প্রথমার্ধের প্রায় পুরো সময় জুড়েই ভুটানের গোলরক্ষককে ব্যস্ত রেখেছে বাংলাদেশ। বিপরীতে অলস সময় পার করেছেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল মারমা।