ডাকসুর শীর্ষ দুই পদে জয়ের পথে ছাত্রশিবিরের সাদিক-ফরহাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে জয়ের পথে রয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী সাদিক কায়েম ও এস এম ফরহাদ।
আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ১৬টি হলের সাতটি ভোটকেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ফল অনুযায়ী প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী আবিদুল ইসলাম ও তানভীর বারী হামিমের তুলনায় সুস্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে আছেন সাদিক কায়েম ও এস এম ফরহাদ।
এ পর্যন্ত ঘোষিত ফল অনুযায়ী, ডাকসুর সহসভাপতি পদে সাদিক কায়েম ১২ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৫ হাজার ২২১ ভোট। এ ছাড়া জিএস পদে শিবির সমর্থিত প্যানেলের এস এম ফরহাদ পেয়েছেন ৯৭৪১ এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের হামীম পেয়েছেন ৪৮৭৫ ভোট।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। এ নির্বাচনে গড়ে প্রায় ৭৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভোট পড়েছে বিজয় একাত্তর হলে ৮৩ শতাংশ, জগন্নাথ হলে ৮৩ শতাংশ, মুহসীন হলে ৮৩ দশমিক ৫ শতাংশ, কার্জন হলে ৮০ শতাংশ, সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ৮৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ, স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ৮২ দশমিক ৮৩ শতাংশ, সূর্যসেন হলে ৮৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ, জসিমউদ্দীন হলে ৭৮ শতাংশ, জিয়া হলে ৭৫ শতাংশ, শেখ মুজিব হলে ৮৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ, উদয়ন স্কুলে ৮৫ শতাংশ, টিএসসিতে ৬৯ শতাংশ ও ল্যাবরেটরি স্কুলে ৬৩ দশমিক ২৫ শতাংশ।
এবারের ডাকসু নির্বাচনে ভোটাররা আটটি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে ভোট প্রদান করেন। এবার ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন। আর ১৮টি হল সংসদে নির্বাচন হবে ১৩টি করে পদে। হল সংসদের ২৩৪টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন এক হাজার ৩৫ জন। সব মিলিয়ে এবার ভোটারদের ৪১টি ভোট দিতে হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর মাত্র আটবার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরধ্যে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৯ সালে।
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।