গোপালগঞ্জের ঘটনায় সাবেক বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন গঠন

গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জ জেলা সদরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জনসভাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনা তদন্তে একজন সাবেক বিচারপতির নেতৃত্বে ছয় সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি সাবেক বিচারপতি ড. আবু তারিক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও বীর মুক্তিযোদ্ধা; সদস্য খন্দকার মো. মাহাবুবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ; সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ), আইন ও বিচার বিভাগ; ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহীদুর রহমান ওসমানী, কমান্ডার, ২১ পদাতিক ব্রিগেড; সরদার নূরুল আমিন, পরিচালক (অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক), কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকা এবং ড. সাজ্জাদ সিদ্দিকী, চেয়ারম্যান, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
উক্ত ঘটনার পর গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে এই তদন্ত কমিশন গঠিত হয়।
কমিশনের কার্যপরিধি—
(ক) উদ্ভূত ঘটনার অন্তর্নিহিত কারণ উদ্ঘাটন করা,
(খ) জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জনসভায় আক্রমণের জন্য দায়ী ব্যক্তি/সংগঠনকে চিহ্নিতকরণ,
(গ) উল্লিখিত ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তি/সংগঠনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ প্রদান,
(ঘ) উক্ত ঘটনাকালীন জেলা কারাগারসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা ও নাগরিক নিরাপত্তা ব্যাহত হওয়ার বিষয়সহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য ঘটনা বিশ্লেষণপূর্বক মতামত প্রদান,
(ঙ) ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে সুপারিশ প্রদান।
তদন্ত কমিশন প্রয়োজনে উপযুক্ত যে কোনো ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ তদন্ত কমিশনকে সাচিবিক সহায়তাসহ সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করবে ও কমিশনের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করবে এবং কমিশনকে সহায়তার উদ্দেশ্যে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত যে কোনো ব্যক্তিকে দায়িত্ব প্রদান করতে পারবে।
কমিশন ৩ সপ্তাহের মধ্যে সুস্পষ্ট মতামত ও সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দাখিল করবে।