কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো চবির আরেক শিক্ষার্থীর মরদেহ

কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতে গোসল করতে নেমে সাগরের ঢেউয়ে ভেসে নিখোঁজ হওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী আসিফ আহমেদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আরও এক শিক্ষার্থী অরিত্র হাসান।
আজ বুধবার (৯ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে সমিতিপাড়া সৈকত এলাকায় মৃতদেহটি ভেসে এলে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও সি সেইফ লাইফ গার্ড কর্মীদের খবর দেন। পরে পুলিশ ও লাইফ গার্ড সদস্যরা স্থানীয়দের সহায়তায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সি সেইফ লাইফ গার্ডের সুপারভাইজার মো. ওসমান গণি।
নিহত আসিফ আহমেদ বগুড়া সদর উপজেলার দক্ষিণ নারুলী এলাকার মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (৮ জুলাই) উদ্ধার করা হয় ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা কে এম আনিসুর রহমানের ছেলে কে এম সাদমান রহমান ওরফে সাবাবের (২১) মরদেহ।
নিখোঁজ থাকা শিক্ষার্থী অরিত্র হাসান বগুড়া সদর উপজেলার দক্ষিণ নিধনিয়া দক্ষিণ পাড়ার মো. আমিনুল ইসলামের ছেলে। তিনজনই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আব্দুল মুকিত জানান, সকাল ৯টার দিকে সৈকতের সমিতিপাড়া পয়েন্টে মৃতদেহটি ভেসে এলে স্থানীয়রা ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফ গার্ড কর্মীদের খবর দেয়। মৃতদেহটি উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষার্থীর বন্ধু ও স্বজনদের দেওয়া ছবি দেখে মৃতদেহের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে পাঁচ বন্ধু কক্সবাজার ঘুরতে আসে। পরে হিমছড়ি সৈকতে গিয়ে তারা ঘুরছিলেন। এক পর্যায়ে দুজন বাঁধের ওপর বসে থাকেন এবং তিনজন বাঁধের নিচে নেমে সাগরে গোসল করছিলেন। এ সময় হঠাৎ সাগরের প্রবল ঢেউয়ের তোড়ে তিনজনই ভেসে যায়। স্থানীয়রা তৎক্ষণাৎ উদ্ধার অভিযানে নামে এবং সাদমান রহমানকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। তবে অন্য দুজন সাগরে নিখোঁজ ছিলেন।
ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিস, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফ গার্ড কর্মীরা সাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। তবে বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে।