দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে তিন বাসের ধাক্কা, পুলিশসহ নিহত ২

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশের এক কর্মকর্তা ও একটি বাসের হেলপার নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। যাদের মধ্যে রয়েছেন- নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা ও আরও এক পুলিশ সদস্য।
শনিবার (১৪ জুন) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকে একের পর এক তিনটি বাস ধাক্কা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মহাসড়কের ওই অংশে যান চলাচল প্রায় তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকে। রাত সাড়ে ৫টার দিকে দুর্ঘটনাকবলিত যানগুলো সরিয়ে নেওয়ার পর স্বাভাবিক হয় যান চলাচল।
নিহতরা হলেন ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের সহকারী ট্রাফিক সাব-ইন্সপেক্টর (এটিএসআই) রফিকুজ্জামান (৫৮) ও আরমান পরিবহণের হেলপার সেলিম হোসেন ব্যাপারী (৪৩)। আহতদের মধ্যে ছয়জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয় খুলনাগামী আরমান পরিবহণের একটি বাস। এতে বাসটির হেলপার সেলিম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা উদ্ধার কাজ শুরু করেন।
এর কিছুক্ষণ পর সাতক্ষীরা এয়ারলাইন্সের একটি বাস একটি প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দেয়, যা রাস্তার পাশের গাছের সঙ্গে আটকে যায়। পরে এসপি গ্রিন লাইনের একটি বাস এসে ধাক্কা দেয় আগের দুর্ঘটনাকবলিত বাসকে। এরপর চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী নিউ বলেশ্বর পরিবহণের একটি বাস এসে একসঙ্গে ওই বাস ও ট্রাককে ধাক্কা দিলে চতুর্মুখী সংঘর্ষ ঘটে।
এ সময় উদ্ধার কাজে নিয়োজিত পুলিশের এটিএসআই রফিকুজ্জামান গুরুতর আহত হন। তাকে প্রথমে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট সিনিয়র স্টেশন অফিসার মালেক আলীর নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত সাড়ে ৩টা থেকে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় ভোরে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়।
এ ঘটনায় দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত চারটি যান, নিউ বলেশ্বর, এসপি গ্রিন লাইন, আরমান পরিবহণ ও প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।