আদালতের রায় নিয়ে ইসির বৈঠক

আদালতের সাম্প্রতিক আদেশ বা নির্দেশনার ওপর কার্যব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে পর্যালোচনার জন্য বৈঠক করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সভায় বসে ইসি।
কমিশন সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে চার কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া কমিশন সভায় ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আদালতের সাম্প্রতিক আদেশ বা নির্দেশনার ওপর কার্যব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয় বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটির সবশেষ নির্বাচন হয়। তাতে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হন আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস।
ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর গেল ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে।
এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু আদালত সংক্রান্ত জটিলতায় তাকে শপথ পড়ানো হয়নি। অন্যদিকে ইশরাককে শপথ পড়ানোর দাবিতে ওইদিনই আন্দোলন শুরু করেন তার সমর্থকরা। তাদের আন্দোলনে দুই সপ্তাহ ধরে কার্যত অচল হয়ে আছে নগর ভবন। বর্তমান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে গত ১ জুন।
গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের পর শপথের ইস্যুটি নির্বাচন কমিশন, স্থানীয় সরকার, আইন মন্ত্রণালয়, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট, আপিল বিভাগ পর্যন্ত গড়ায়।
অন্যদিকে গত ২ জুন রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। তবে জামায়াতে ইসলামীর প্রতীক দাঁড়িপাল্লা বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন সংক্রান্ত যেকোনো অমীমাংসিত সমস্যা এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয় যদি থাকে, তার সাংবিধানিক আদেশ পূর্ণ প্রয়োগের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। তবে জামায়াতে ইসলামীর প্রতীক দাঁড়িপাল্লা থাকবে কিনা সে বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এরই মধ্যে প্রকাশিত রায়ের সংক্ষিপ্ত আদেশ নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পাঠানো হয়েছে বলে জানান জামায়াতের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। এ বিষয়েও আজ সিদ্ধান্ত আসতে পারে নির্বাচন কমিশন থেকে।