নাহিদ ইসলামকে জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদের তীব্র নিন্দা এনসিপির

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর শিরোনামে কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। আজ শনিবার (৩১ মে) এনসিপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি, গতকাল দৈনিক মানবজমিন এবং এর সূত্রে কয়েকটি গণমাধ্যম সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জাতীয় নাগরিক পার্টি–এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলামকে জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি–এনসিপি এই ধরনের ক্লিকবেইট ও শিকারি সাংবাদিকতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।’
এতে আরও বলা হয়, “দৈনিক মানবজমিনের উক্ত প্রতিবেদনে (৮ পৃষ্ঠা, কলাম ১) আতিক মোর্শেদকে মো. নাহিদ ইসলামের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা সঠিক নয়। মো. নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনকালে আতিক মোর্শেদ তাঁর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু তিনি বর্তমানে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফাইজ তাইয়্যেব আহমেদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। এ ছাড়া, গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এনসিপির আহ্বায়ক পরিষ্কার করেছেন যে, উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত থাকাবস্থায় ‘নগদ’ বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে ছিল। ফলে নগদ সংক্রান্ত ব্যাপারে তাঁকে জড়িয়ে এমন প্রতিবেদন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রতীয়মান হয়েছে। আমরা আরও উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি—একটি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রাপ্ত ‘রেডিমেইড’ প্রতিবেদনকে তথাকথিত ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা’ হিসেবে জনগণের সামনে উপস্থাপনের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে উঠেছে। এর আগে ‘ওয়ান-ইলেভেন সরকারে’র আমলে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে এ ধরনের ফরমায়েশি সংবাদ প্রকাশের নজির আমরা দেখেছি। বর্তমান সময়ে ঠিক একই ধরনের কার্যক্রম ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার প্রতিধ্বনি করছে এবং আরেকটি এক-এগারোর প্রেক্ষাপট তৈরি করছে।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এই প্রতিবেদন প্রকাশের পরপর কোনোরূপ যাচাই-বাছাই ব্যতীত একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের মিডিয়া সেল থেকেও অব্যাহতভাবে এনসিপি এবং মো. নাহিদ ইসলামকে টার্গেট করে ‘ফটোকার্ড’ প্রকাশ করতে দেখেছি আমরা, যা গভীর উদ্বেগের ও শঙ্কাজনক। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে আমরা এমন এক রাজনৈতিক সংস্কৃতি নির্মাণ করতে চাই, যেখানে পারস্পরিক সমালোচনা হবে গঠনমূলক, যুক্তিনির্ভর ও বস্তুনিষ্ঠ। ভিত্তিহীন প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার প্রবণতা পারস্পরিক সম্মান ও আস্থা নষ্ট করে রাজনৈতিক অঙ্গনের পরিবেশ আবারও পূর্বের ন্যায় দ্বন্দ্বমুখর ও আক্রোশমূলক করে তুলতে পারে; যা সকল পক্ষেরই পরিহার করা উচিত বলে আমরা মনে করি।”
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এনসিপি উল্লেখিত গণমাধ্যমগুলোর কাছে অবিলম্বে বিভ্রান্তিকর তথ্যের সংশোধন এবং ভুল স্বীকার করে পেশাদার সাংবাদিকতার ন্যূনতম দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানাচ্ছে।