ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে চাঁদপুর-ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ ও সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল শনিবার (২৫ মে) দিনগত রাত ১২টার পর থেকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নির্দেশে নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় ।

আজ রোববার (২৬ মে) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক মোহাম্মদ নাহিদ হোসেন।

মোহাম্মদ নাহিদ হোসেন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত চাঁদপুর-ঢাকাসহ সব রুটে লঞ্চ এবং নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।’

এদিকে আজ রোববার সকাল ৬টায় চাঁদপুর লঞ্চঘাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ঘাটে কোনো ধরনের নৌযান নেই। তবে লাইটার জাহাজগুলো নদী তীরবর্তী এলাকায় নোঙর করে রাখা হয়েছে। মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীতে ঢেউ  এবং বাতাসের তীব্রতা সকাল থেকেই বেড়ছে।

এর আগে, শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত মেঘনা উপকূলীয় এলাকা ও লঞ্চঘাটে পূর্ব সর্তকতা হিসেবে মাইকিং করেছে নৌ পুলিশ।

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, জেলে, স্থানীয় বাসিন্দা ও চরাঞ্চলে চলাচলকারী যাত্রী এবং মালবাহী ট্রলারগুলোকে সাবধানে চলাচল করতে সর্তক করে দেওয়া হয়েছে। জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা, গবাদিপশু, শিশুসহ প্রয়োজনীয় খাবার নিয়ে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য নৌপুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানের জন্য বলা হয়েছে।