ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তখত-রাভানচি বলেছেন, পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় ওয়াশিংটন যদি তেহরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম বন্ধের ওপর জোর দেয়, তাহলে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারমাণবিক আলোচনা ‘কোনো ফল বয়ে আনবে না’।

আজ সোমবার (১৯ মে) রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়। গতকাল রোববার মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ইরানের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে ওয়াশিংটনের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

স্টিভ উইটকফ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে যেকোনো নতুন চুক্তিতে অবশ্যই ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ না করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে, যা ভবিষ্যতে পারমাণু বোমা তৈরির দিকে যেতে পারে।

তেহরান অবশ্য সবসময় বলে আসছে তাদের পারমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত। পরমাণু বোমা তৈরির জন্য নয়।

ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তখত-রাভানচি বলেন, ‘পরমাণু সমৃদ্ধকরণের বিষয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট এবং আমরা বারবার বলেছি, এটি একটি জাতীয় অর্জন যা থেকে আমরা পিছু হটব না।’

গত সপ্তাহে উপসাগরীয় অঞ্চল সফরের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘ইরানের সঙ্গে চুক্তি খুব কাছাকাছি। তবে ইরানকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।’

এদিকে, সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, দুপক্ষের আলোচনার সময় ব্যক্তিগতভাবে যা আলোচনা করা হয়েছে, তার পরিবর্তে ভিন্ন কিছু  প্রকাশ করে ওয়াশিংটন আলোচনাকে জটিল করে তুলছে।

২০১৭-২১ প্রথম প্রেসিডেন্ট মেয়াদে, ২০১৫ সালের ইরান এবং বিশ্বশক্তির মধ্যে একটি চুক্তি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন ট্রাম্প। যে চুক্তিতে তেহরানের সমৃদ্ধকরণ কর্মকাণ্ডের ওপর কঠোর নিষেধাঞ্জা আরোপ করা হয়েছিল।