পারমাণবিক আলোচনা : যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য নিয়ে ইরানের ‘সন্দেহ’

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় পারমাণবিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার একদিন আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি দেশটির উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। খবর আল জাজিরার।
ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালের ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি থেকে তিন বছর পর একতরফাভাবে সরে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের আলোচনা হয় গত সপ্তাহে। তবে যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার পর ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচির সমস্ত সীমা বর্জন করেছে এবং ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধতা পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে, যা অস্ত্র-গ্রেডের স্তর ৯০ শতাংশের কাছাকাছি।
গতকাল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) মস্কোতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আব্বাস আরাঘচি বলেন, ‘যদিও আমেরিকান পক্ষের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমাদের গুরুতর সন্দেহ রয়েছে, যাই হোক আমরা আগামীকালের আলোচনায় অংশগ্রহণ করব।’

‘আমরা ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচির শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত’, বলেন আরাঘচি।
ল্যাভরভ বলেন, মস্কো ‘ইরানের দৃষ্টিকোণ থেকে কার্যকর এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গ্রহণযোগ্য যেকোনো ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত’।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর পর থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরমাণু অস্ত্র ভান্ডারের মালিক রাশিয়া ইরানের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক আরও গভীর করেছে। অতীতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন দেশ হিসেবে ইরানের পারমাণবিক আলোচনায় ভূমিকা পালন করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টার অভিযোগ করে আসছে। তেহরান বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে এবং জোর দিয়ে বলছে, তাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ বেসামরিক উদ্দেশ্যে।