‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাংলাদেশের সম্পদ’

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলায় ব্যতিক্রম বান্দরবান। এখানে এগারোটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ বারোটি সম্প্রদায়ের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাংলাদেশের সম্পদ। এই সম্প্রীতি ধরে রাখতে হবে আমাদের। সৌহার্দ্যপূর্ণ বসবাসের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বান্দরবানের স্থানীয় রাজারমাঠে ছয় দিনব্যাপী সাংগ্রাই উৎসবের শেষদিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘হুট করে কোনো কিছু করা সম্ভব নয়, আপনাদের জন্য আমি কিছু করতে চাই, আমাকে কিছুদিন সময় দিতে হবে। রঙের এই উৎসব ধরে রাখতে হবে। পাহাড়ের উৎসব, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে উপস্থাপন করে। উৎসব আয়োজনের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে, উৎসব হলো পাহাড়ের প্রাণ। খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি থেকে পুরোটাই ব্যতিক্রম বান্দরবানের সাংগ্রাই উৎসব আয়োজন। রঙের এই উৎসব দেখে আমি মুগ্ধ।’
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, ইতালির রাষ্ট্রদূত, নেদারল্যান্ডস রাষ্ট্রদূত, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কংকন চাকমা, সদর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল এএসএম মাহমুদুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ্ কাওছার, উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি চনুমং মারমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, ‘সাংগ্রাই উৎসবে বর্নিল আয়োজন ভীষণ ভালো লেগেছে। এই উৎসবে ফুটে উঠেছে পাহাড়ের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্প্রীতির রঙ। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ুক রঙের এই উৎসব।’
এদিকে সাংগ্রাই উৎসবের শেষদিনেও মূল আকর্ষণ মৈত্রী পানি বর্ষণ ও জলকেলিতে মেতে উঠেছিল পাহাড়ের মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করে মারমা, চাকমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, বম, ম্রোসহ এগারোটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিল্পীরা। কেন্দ্রীয়ভাবে জেলা সদরে মূল অনুষ্ঠানমালার শেষ দিনে উৎসব পরিণত পাহাড়ি জনগোষ্ঠীদের এক মিলনমেলায়।