৪৭৭ ড্রোন, ৬০ ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে ইউক্রেনে বড় হামলা রাশিয়ার

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। স্থানীয় সময় আজ রোববার (২৯ জুন) ইউক্রেনের এক কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন। এই ব্যাপক হামলা যুদ্ধ অবসানের প্রচেষ্টাকে আরও পিছিয়ে দিয়েছে। খবর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, শনিবার রাতে রাশিয়া মোট ৫৩৭টি আকাশযান অস্ত্র ইউক্রেনের দিকে ছুড়েছে। যার মধ্যে ৪৭৭টি ড্রোন ও ডেকোই (নকল লক্ষ্যবস্তু) এবং ৬০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছিল। এর মধ্যে ২৪৯টি ভূপাতিত করা হয়েছে। এছাড়া ২২৬টি সম্ভবত ইলেকট্রনিক জ্যামিংয়ের কারণে লক্ষ্যচ্যুত হয়েছে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর যোগাযোগ প্রধান ইউরি ইহনাত এপিকে বলেছেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে এটি দেশের ওপর ‘সবচেয়ে বড় বিমান হামলা’, যাতে ড্রোন ও বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র উভয়ই ব্যবহার করা হয়েছে। এই হামলায় পশ্চিম ইউক্রেনসহ যুদ্ধক্ষেত্র থেকে অনেক দূরে অবস্থিত বেশ কয়েকটি অঞ্চল লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই হামলায় খেরসন, খারকিভ ও দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলে ড্রোন হামলায় প্রতিটি অঞ্চলে তিনজন করে মোট নয়জন নিহত হয়েছেন বলে তিন প্রদেশের গভর্নর জানিয়েছেন। কোস্তিয়ানতিনভকায় বিমান হামলায় আরও একজন নিহত হয়েছেন। বিমান হামলার পাশাপাশি, রুশ সেনারা খেরসন শহরে শেল নিক্ষেপ করলে একজন ব্যক্তি মারা যান ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে রাশিয়ান শেলিংয়ে একটি নয়তলা ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচে ৭০ বছর বয়সী এক নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনী আরও জানিয়েছে, পশ্চিমা অংশীদারদের সরবরাহকৃত একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ড্রোন ভূপাতিত করার সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানের পাইলট নিহত হয়েছেন।