ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতের সম্ভাব্য পরিণতি কী?

ইসরায়েল ও ইরানের চলমান সংঘাতে পুরোপুরি জড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে আমেরিকা ও ইরানের মধ্যকার ৪৫ বছরের বৈরী সম্পর্ক এবার এক নতুন মোড় নিয়েছে। এমতাবস্থায় সংঘাতের সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে বিশ্বজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে গভীর উদ্বেগ। খবর বিবিসির।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইতোমধ্যেই মন্তব্য করেছেন, পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে রেড লাইন অতিক্রম করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মুহূর্তে 'খুবই অপ্রত্যাশিত' এবং 'বিপজ্জনক' পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
বিবিসির প্রধান আন্তর্জাতিক সংবাদদাতা লিস ডুসেট তার বিশ্লেষণে বলেন, এরপর কী ঘটবে, তা মূলত নির্ভর করবে ইরান কীভাবে এই হামলার প্রতিক্রিয়া জানায় তার ওপর। যদিও ইরানের হাতে 'খুব কম বিকল্প' আছে বলে তিনি মনে করেন। তবুও এই পরিস্থিতিতে তাদের একটি জবাব দেওয়া অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। ডুসেট উল্লেখ করেন, এটি কেবল 'কথার যুদ্ধ' নয়, বরং মাটিতেও 'একটি ক্রমবর্ধমান যুদ্ধ' চলছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই 'খুব সতর্কতার' সঙ্গে কাজ করেছেন। যাকে ইরানিরা 'কৌশলগত ধৈর্য' বা 'দীর্ঘমেয়াদী খেলা' বলে অভিহিত করে থাকেন।
কিন্তু লিস ডুসেটের মতে, সেই খেলার সময় শেষ। খামেনি এখন এক কঠিন দ্বিধার মুখোমুখি হয়েছেন। যদি তিনি হামলার জবাবে খুব কম পদক্ষেপ নেন, তাহলে তিনি সম্মান হারাবেন। যদি তিনি খুব বেশি কিছু করতে যান তাহলে তিনি সবকিছু হারাবেন।
এই পরিস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে, ইরানকে এখন এমন একটি পদক্ষেপ নিতে হবে যা তাদের সম্মান রক্ষা করবে, একই সঙ্গে এই পরিস্থিতিকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংঘাতের দিকে ঠেলে দেবে না। ইরানের সম্ভাব্য পাল্টা হামলা ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আরও জোরালো সামরিক পদক্ষেপের কারণ হতে পারে। যা মধ্যপ্রাচ্যকে এক সর্বাত্মক যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি করছে। বিশ্বনেতারা এই সংঘাতের সম্ভাব্য বিস্তার নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। পরিস্থিতি যেকোনো মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।