গাজায় সামরিক অভিযানে ৪৩০ ইসরায়েলি সৈন্য নিহত

দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধের সময় শনিবার (১৪ জুন) ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) একজন সৈন্য নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে স্থল অভিযান ও সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সামগ্রিক সামরিক অভিযানে ইসরায়েলের মৃতের সংখ্যা ৪৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। খবর দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের।
আইডিএফ জানিয়েছে, নিহত সৈন্য হলেন ২১ বছর বয়সী সার্জেন্ট ফার্স্ট ক্লাস (রেজিস্টার্ড) নোয়াম শেমেশ, যিনি জেরুজালেমের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি কেফির ব্রিগেডের শিমশোন ব্যাটালিয়নের একজন স্কোয়াড কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
রোববার (১৫ জুন) সকালে সেনাবাহিনীর দেওয়া প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকায় একটি আরপিজি (রকেট-প্রপেলড গ্রেনেড) হামলায় শেমেশ নিহত হন। এই ঘটনায় আরও একজন সৈন্য সামান্য আহত হয়েছেন। শেমেশের মৃত্যু খান ইউনিসে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে চার সৈন্য নিহত হওয়ার ঘটনার পরপরই ঘটল।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর গাজায় এই অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। হামাসের সেই হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ জন নিহত ও ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল। গাজার সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো এখনো ৫৩ জনকে জিম্মি করে রেখেছে বলে ইসরায়েল জানিয়েছে। এর মধ্যে আইডিএফ কর্তৃক নিশ্চিত করা কমপক্ষে ৩৩ জনের মৃতদেহ ও ২০ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা আরও তিনজনের সুস্থতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

শনিবার আইডিএফ জানিয়েছে যে, গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা শুরু হওয়ার পর গাজা যুদ্ধকে দ্বিতীয় স্তরে নামিয়ে আনা হয়েছে। ইসরায়েল যাকে ‘অস্তিত্বের হুমকি’ বলে দাবি করছে, তার বিরুদ্ধে হামলা অব্যাহত থাকায়, ইরানও ইসরায়েলে শনিবার রাতে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় ইসরায়েলের উত্তর ও মধ্য অঞ্চলে কমপক্ষে ১০ জন নিহত ও ২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।