পাকিস্তানে পৃথক সংঘর্ষে নিহত ৯

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার ওয়াজিরিস্তান, খাইবার ও বান্নু জেলায় পৃথক সংঘর্ষে মোট ৯ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন পাকিস্তানি সেনা সদস্য ও বাকি আটজন সন্ত্রাসী বলে জানিয়েছে দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর)। সোমবার (৫ মে) জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উত্তর ওয়াজিরিস্তান, খাইবার ও বান্নু জেলায় অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। এই অভিযানে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। সংঘর্ষে ৪০ বছর বয়সী সেনা সদস্য মুজাহিদ খান বীরত্বের সাথে লড়াই করে শহীদ হন। এছাড়া আটজন ‘খারিজি’ (সন্ত্রাসী) নিহত হয়েছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া বিভাগ আরও জানিয়েছে, দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসবাদের হুমকি নির্মূলে বদ্ধপরিকর এবং সাহসী সৈন্যদের এই আত্মত্যাগ তাদের সংকল্পকে আরও দৃঢ় করেছে। তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনী দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদের মূল উৎপাটন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (পিআইসিএসএস) তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা আগের তুলনায় ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, দেশজুড়ে কমপক্ষে ৭৪টি জঙ্গি হামলার ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে, যাতে ৯১ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৫ জন নিরাপত্তা কর্মী, ২০ জন বেসামরিক নাগরিক এবং ৩৬ জন জঙ্গি। এছাড়া এসব হামলায় আরও ১১৭ জন আহত হয়েছেন।

পাকিস্তান বারবার আফগানিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যাতে সন্ত্রাসীরা তাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে না পারে। দুই দেশের মধ্যে প্রায় ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।
ইসলামাবাদ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) অ্যানালিটিক্যাল সাপোর্ট অ্যান্ড স্যাকশনস মনিটরিং টিমের কাছে একটি প্রতিবেদন পেশ করেছে। সেখানে কাবুল এবং তেহরিক ই তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) মধ্যে যোগসূত্র দেখানো হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আফগান সরকার টিটিপিকে লজিস্টিক, অপারেশনাল এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।