প্রতিদিন যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার খোঁজ নিতেন পোপ ফ্রান্সিস

গাজার সংঘাত নিয়ে একাধিকবার মুখ খুলেছেন ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। একইসঙ্গে গাজা উপত্যকায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনি খ্রিস্টানদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন তিনি । খবর বিবিসির।
আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) গাজার ল্যাটিন-রাইট চার্চ অফ দ্য হোলি ফ্যামিলির যাজক ফাদার গ্যাব্রিয়েল রোমানেলি বিবিসিকে এ কথা জানান।
গ্যাব্রিয়েল রোমানেলি জানান, পোপ তাদের নিরাপত্তার খোঁজখবর নিতে দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রতিদিন ফোন করতেন। এমনকি তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় কিছু আরবি বাক্যও শিখেছিলেন তিনি।
রোমানেলি জানান, সর্বশেষ শনিবার পোপের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। পোপ তাদের ফোন করে আশীর্বাদ দিয়েছেন এবং তার জন্য প্রার্থনা করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
হোলি ফ্যামিলির যাজক আরও বলেন, ‘এখানে জীবনযাপন করা সহজ নয়। এখানকার একজন যাজক হিসেবে পোপের ঘনিষ্ঠতা অনুভব করা আমাদের জন্য ঈশ্বরের বিশেষ দয়ার একটি নিদর্শন ছিল। চার্চে ঈশ্বরের সেবা করার জন্য এটি আমাদের উৎসাহ জুগিয়েছে।’
পোপ ফ্রান্সিস মারা যাওয়ার আগে তার শেষ বার্তায় গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন। ইস্টার সানডের ওই বার্তা উচ্চ স্বরে পড়েছিলেন তার সহযোগী।
ইস্টারের বার্তায় পোপ বলেন, ‘আমি সমস্ত ইসরায়েলি জনগণ এবং ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্দশার প্রতি আমার একাত্মতা প্রকাশ করছি। আমি যুদ্ধরত পক্ষগুলোর কাছে আবেদন করছি, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করুন, জিম্মিদের মুক্তি দিন এবং শান্তির ভবিষ্যতের আকাঙ্ক্ষা পোষণকারী ক্ষুধার্ত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসুন।’
গত জানুয়ারি মাসে পোপ বলেন, ‘ফিলিস্তিনের গাজায় মানবিক পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর ও লজ্জাজনক।’
এদিকে পোপের মৃত্যু একজন বিশ্বস্ত বন্ধু হারানোর শোক জানিয়েছে ফিলিস্তিন।

গতকাল সোমবার ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, ‘আজ আমরা ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের বৈধ অধিকারের একজন বিশ্বস্ত বন্ধু হারালাম।’
মাহমুদ আব্বাস স্মরণ করিয়ে দেন, পোপ ফ্রান্সিস ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং ভ্যাটিকানে ফিলিস্তিনি পতাকা উত্তোলনের অনুমোদন দিয়েছিলেন।
পোপ ফ্রান্সিস গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে ভ্যাটিকানে নিজ বাসভবন কাসা সান্তা মার্তায় মারা গেছেন।