গাজায় নিহত আরও ৫২, হামলা জোরদারের নির্দেশ নেতানিয়াহুর

গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল শনিবার (১৯ এপ্রিল) ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৫২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এসব হামলায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আজ রোববার (২০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল শনিবার টানা বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এসব হামলায় কমপক্ষে ৫২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর ১৮ মাসে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৫১ হাজার ৬৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখ ১৬ হাজার ৫০৫ জন।
গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, মৃতের প্রকৃত সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও হাজার হাজার মানুষ আটকে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন, হামাস সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় হামলা আরও জোরদার করা হবে।
হামাস দাবি করেছে, তারা একটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে যার সঙ্গে ইসরায়েলি-আমেরিকান বন্দি ইদান আলেক্সান্ডারের দেহরক্ষী ছিলেন, তবে ইদানের ভাগ্য অনিশ্চিত।
দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় গত সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত এক হাজার ৬৩০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও চার হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।