টেবিল টেনিসে বাংলাদেশ জেলের দল গঠন

টেবিল টেনিসে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য দীর্ঘমেয়াদি দল বানাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জেল। যেকোনো খেলায় সরকারি, আধা-সরকারি বা বেসরকারি দীর্ঘমেয়াদি দল গঠন করা সেই খেলার খেলোয়াড়দের আর্থিক সঙ্গতি বাড়ায় ও নির্ভাবনায় খেলার উৎসাহ যোগায়। তাই টেবিল টেনিস খেলোয়াড়দের আশা জাগিয়ে তারা এই উদ্যোগ নিয়েছে।
বাংলাদেশ জেল দলকে টেবিল টেনিস নিয়ে আসার পিছনে সর্বোচ্চ অবদান রেখেছেন বিকেএসপির সাবেক মহাপরিচালক ও বর্তমান কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোতাহের হোসেন। তিনি বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে দেখছি, যেমন মালদ্বীপে সাউথ এশিয়ান জুনিয়রে স্বর্ণপদক জয়, কমনওয়েলথ গেমস এর মতো একটি খেলায় কোয়ার্টার ফাইনালে উন্নীত, এমনকি সর্বশেষ আমি যখন বিকেএসপিতে ছিলাম, তখন দেখেছি আবারও এরা সাউথ এশিয়ান থেকে এশিয়ানে কোয়ালিফাই করেছে। এই ধারাবাহিকতা দেখে আমাদের মনে হয়েছে এই খেলাটা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সাফল্য এনে দিচ্ছে। ভবিষ্যতে আরো ভালো কিছু এই টেবিল টেনিস থেকে আশা করা যায়। তাই আমরা টেবিল টেনিসের ভালো কিছু হওয়ার সঙ্গী হতে চাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিকেএসপির পরিচালক (ট্রেনিং) কর্নেল হাসান। তিনি বলেন, বিকেএসপির দায়িত্ব হচ্ছে বয়সভিত্তিক খেলোয়াড় তৈরি করে, জাতীয় দলের পাইপলাইন সমৃদ্ধ করা। আজকে বাংলাদেশ জেল দলে টেবিল টেনিস খেলোয়াড় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় আমরা আনন্দিত।’
বাংলাদেশ জেলের পুরুষ দলে থাকছেন সাউথ এশিয়ান জুনিয়র স্বর্ণপদকজয়ী দলের সদস্য, বর্তমান জাতীয় জুনিয়র র্যাঙ্কিংয়ে ১ ও ২ নম্বরে থাকা নাফিজ ইকবাল ও আবুল হাসান হাসিব। এছাড়া তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে থাকছেন সাউথ এশিয়ান জুনিয়র এ ব্রোঞ্জ জয়ী দলের সদস্য মো. সাগর।
মেয়েদের মধ্যে থাকছেন সাউথ এশিয়ান জুনিয়রে ব্রোঞ্চ জয়ী দলের সদস্য আসমা খাতুন লতা, নবাগত বুলবুলি ও রাফিয়া। কোচ হিসাবে থাকছেন সর্বশেষ সাউথ এশিয়ান এ রৌপ্য জয়ী দলের কোচ মো. আশিকুর রহমান পলাশ।
জেল দলের এক নম্বর খেলোয়াড় ও বর্তমানে বাংলাদেশ জুনিয়র র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা নাফিজ ইকবাল বলেন, ‘আজকে আমাদের অনেক ভালো লাগছে যে একটি অফিস দল আমাদের টেবিল টেনিসে আসছে এবং আমি সেই দলে প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছি।’ এই উদ্যোগের জন্য বিকেএসপির সাবেক ডিজি ও বর্তমানে কারা মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোতাহের হোসেন ও টেবিল টেনিস ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট খোন্দকার হাসান মুনির সুমনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘টেবিল টেনিস খেলায় একটি অফিস দল আসা আমাদের জন্য অনেক বড় ব্যাপার। কারণ একটা অফিস দল আসার অর্থ কমপক্ষে ছয় থেকে সাতটা প্লেয়ারের আর্থিক স্বচ্ছলতা ও নির্ভাবনায় খেলার অঙ্গীকার।’