চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত মেয়েরা, আত্মবিশ্বাসী কোচ বাটলার

ফুটবলে নবজাগরণের জোয়ারে ভাসছে বাংলাদেশ। বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে একটু একটু করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা। নারী-পুরুষ উভয় দলই এখন আত্মবিশ্বাস নিয়ে প্রত্যাশিত ফুটবলের ধারাটা ফিরিয়ে আনার ধারাবাহিকতায় রয়েছে।
নারী ফুটবল দল কেন দক্ষিণ এশিয়ার সেরা সেইটা আরো একবার দেখিয়ে দিলেন ঋতুপর্ণা-মনিকারা। বাহরাইনকে তারা গোলবন্যায় ভাসিয়েছে। কোচ পিটার বাটলার তার শিষ্যদের যে উন্নতির কথা বলেছিলেন এবং জয়ের প্রত্যাশার কথা বলেন, সেইটার প্রতিফলন ফুটে উঠেছে গতকাল নারীদের ফুটবলে। ম্যাচ জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কোচ বলেন, ‘আমি মনে করি এই (শক্তিশালী দলের বিপক্ষে) ম্যাচগুলোই খেলতে চাইবেন। কারো প্রতি অশ্রদ্ধা দেখাচ্ছি না, কিন্তু সবসময় বলে এসেছি এ ধরনের কঠিন ম্যাচ খেলতে চাই আমি। বাহরাইন সম্প্রতি সৌদি আরবের বিপক্ষে হেরে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে ড্র করে এসেছিল।”
বাহরাইনকে গোল বন্যায় ভাসানোর পর মেয়েদের প্রশংসাও করেছেন বাটলার। তিনি বলেন, ‘অনেক সময় গোল না পাওয়ার কারণে সমালোচনা করে মানুষ, কিন্তু আমি সবসময় জানতাম গোল হবে। বিশেষ করে এই দলটায় তহুরা, শামসুন্নাহার, ঋতুপর্ণা, মনিকার মতো গতিময় খেলোয়াড় আছে, মারিয়া আছে এবং আমি মনে করে সে আজ দুর্দান্ত ছিল, সবাই দুর্দান্ত ছিল। নির্দিষ্ট কারো নাম নিতে পছন্দ করি না; আমার মনে হয়, মেয়েরা আসলেই দেশকে গর্বিত করেছে।”
শক্তি-সামর্থ্য ও র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা বাহরাইন বধের পর এবার বটলারের মিশন মিয়ানমারকে হারানো। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূলপর্বে খেলতে হলে এই ম্যাচটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কোচও আত্মবিশ্বাসী আফঈদা-মনিকাদের নিয়ে।
মূলপর্বে খেলার পথে সবচেয়ে বড় বাধা মিয়ানমার। র্যাঙ্কিংয়ে যারা ৫৫তম, বাংলাদেশের (১২৮তম) থেকে তারা বেশ এগিয়ে। তুর্কমেনিস্তানকে ৮-০ ব্যবধানে হারিয়ে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব শুরু করেছে তারা। বাহরাইনের বিপক্ষে জয়ের পর মিয়ানমার ম্যাচের চ্যালেঞ্জ নিতেও প্রস্তুত এবার বাটলার।
আগামী ২ জুলাই স্বাগতিক মিয়ানমারের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ নিয়ে বাটলার বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, মিয়ানমার আমাদের ভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করাবে, একেবারেই ভিন্ন। তারা কৌশলগতভাবে দারুণ, সমর্থকদেরও পাশে পাবে। কিন্তু আমি মনে করি, আমরা প্রস্তুত তাদের জন্য।’