আর্সেনালের রূপকথার রাতে সেমিতে ইন্টারও

ফিরে আসার নানা গল্প, একের পর এক ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়, বিার্নাব্যুর ছাদ অবরুদ্ধ করে ম্যাচের আয়োজন—সব বৃথা গেল রিয়াল মাদ্রিদের। যাবে না-ই বা কেন? আসল যে কাজ, মাঠের খেলায় যা করে দেখানোর দরকার ছিল, সেটাই যে করতে পারেনি তারা। উল্টো শেষদিকে গোল খেয়ে আবারও হেরে বিদায় নিতে হয়েছে লস ব্লাংকোদের।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দিনগত রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতেচ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচটি আর্সেনালের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরেছে কার্লো আনচেলত্তির দল। দুই লেগ মিলিয়ে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ৫-১। এমিরেটস স্টেডিয়ামে গত সপ্তাহে ৩-০ গোলে হেরেছিল রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাচের প্রথমার্ধে দুই দলই একটি করে পেনাল্টি পেলেও বাজে শট নিয়ে থিবো কোর্তোয়ার হাতে ধরা পড়েন বুকায়ো সাকা। কিছুক্ষণ পর এমবাপ্পেকে পেনাল্টি দিয়েও পাঁচ মিনিটের দীর্ঘ রিভিউ শেষে তা বাতিল করে দেন রেফারি।
তিন গোলের ব্যবধান কমানোর লক্ষ্যে মাঠে নামলেও প্রথমার্ধে গোল করা তো দূরের কথা, গোলে একটি শটও নিতে পারেনি রিয়াল। অন্যদিকে, চারটি শটের তিনটিই লক্ষ্যে রাখে আর্সেনাল। দ্বিতীয়ার্ধে তিনটি করে শট লক্ষ্যে রাখে দুদলই, যেখান থেকে আর্সেনাল দুটি ও রিয়াল একটিকে গোলে পরিণত করতে সক্ষম হয়।
ম্যাচের ৬৫তম মিনিটে প্রথম স্কোরবোর্ডে পরিবর্তন আনেন আর্সেনাল উইঙ্গার বুকায়ো সাকা। এর দুই মিনিট পর নিজেদের ভুলে ভিনিসিয়ুসের কাছে গোল খায় লন্ডনের দলটি। পরে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ালে রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি।
এই জয়ে ১৬ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠল আর্সেনাল। ২০০৮-০৯ মৌসুমে আর্সেন ওয়েঙ্গার সবশেষ দলটিকে ইউরোপের এলিট এই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে তুলেছিলেন।
অপর ম্যাচে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছে বায়ার্ন মিউনিখ। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ চার নিশ্চিত করেছে ইতালিয়ান ক্লাবটি।