লেনদেন বাড়লেও টানা তিনদিন সূচকের পতন

পুঁজিবাজারে টানা ৯ কর্মদিবস পতনের পর গত রোববার উত্থানে ফিরেছিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স। সেখান থেকে গত দুইদিনের (সোমবার ও মঙ্গলবার) মতো আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) ফের পতনে প্রধান এই সূচকটি। এদিন ডিএসইএক্স পতন হয়েছে ১৮ পয়েন্ট। তবে আগের কর্মদিবস মঙ্গলবারের তুলনায় আজ বুধবার বাজারে মূলধন বেড়েছে। এদিন বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও। বেড়ে লেনদেন হয়েছে ৩২৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
ডিএসইতে আজ লেনদেন শুরুতে শেয়ার কেনার চাপে প্রথম ৩৩ মিনিটে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স উত্থান হয় ২২ পয়েন্ট। এদিন বেলা বাড়ার পর শেয়ার বিক্রির চাপে সূচকটি পতনে ফিরে। লেনদেন শেষে সূচক ডিএসইএক্স পতন হয়েছে ১৭ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট। দিনশেষে সূচকটি কমে দাঁড়ায় চার হাজার ৯১৭ দশমিক ৯১ পয়েন্টে। অপরদিক গত ৪ এপ্রিল সূচক ডিএসইএক্স হয়েছিল পাঁচ হাজার ২০৫ পয়েন্টে। পরে টানা ৯ কর্মদিবস এই সূচকের পতন ছিল। এতে সূচকটির পতন হয় ২৩৩ পয়েন্ট। টানা পতন থেকে গত রোববার সূচকটি ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। সেখান থেকে ফের টানা তিনদিন ধরে ফের প্রধান সূচকের পতন। একইসঙ্গে পতন হয়েছে ডিএসইর সূচক ডিএস৩০। এদিন ডিএস৩০ সূচক এক দশমিক ৩৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮২২ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে। আজ ডিএসইএস সূচক দশমিক ২২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৪ দশমিক ১৭ পয়েন্টে। আগের কর্মদিবস মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ২৯১ কোটি সাত লাখ টাকার শেয়ার। আজ লেনদেন হয়েছে ৩২৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকার। এদিন ডিএসইতে মূলধন দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৫৬ হাজার ৫৬৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার মূলধন ছিল ছয় লাখ ৫৬ হাজার ৩৩২ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
আজ লেনদেন হওয়া ৩৯৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৯টির ও কমেছে ১৭৫টির। শেয়ার দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টির। এদিন লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে সিটি ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে মিডল্যান্ড ব্যাংকের ১৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, বিচ হ্যাচারির ৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা এবং বেক্সিমকো ফার্মার ৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আজ দর কমার শীর্ষে উঠে এসেছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির দর কমেছে ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। দর বাড়ার শীর্ষে উঠে এসেছে মাগুরা মাল্টিপ্লেক্সের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ।