প্রতীক্ষিত ডাকসু নির্বাচন আজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আজ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর)। দীর্ঘ ছয় বছরের অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সংসদ খ্যাত নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হবে। সূচনা হবে এক নতুন সকালের। নির্বাচন উপলক্ষে টানা ১৩ দিনে উৎসবমুখর পরিবেশে নানান ঢং ও উপায়ে প্রচারণা চালিয়ে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করেছেন প্রার্থীরা। ভোটারও নিজেদের পছন্দের প্রার্থী খুঁজে নিয়েছেন। অপেক্ষা শুধু ব্যালটে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার।
তফসিল অনুযায়ী, আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডাকসু ও হল সংসদের ৪১টি পদে নিজের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেবেন ভোটাররা।
ডাকসুর চূড়ান্ত তালিকায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭৩ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন।
ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ৪৭১ জন। আর ১৮টি হল সংসদে নির্বাচন হবে ১৩টি করে পদে। হল সংসদের ২৩৪টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন শিক্ষার্থী।
অন্যবারের তুলনায় এবার ডাকসুতে ব্যালটের আকার বেড়েছে। এবার ডাকসুতে থাকছে পাঁচ পৃষ্ঠার ব্যালট। আর হল সংসদের থাকছে এক পৃষ্ঠার ব্যালট। এ ভোট দিতে হবে অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন (ওএমআর) শিটে। প্রতি ভোটারের জন্য আট মিনিট করে সময় রাখা হয়েছে।
ভোট প্রক্রিয়া
ভোটাররা নিজেদের সুবিধাজনক সময়ে নির্ধারিত ভোটকেন্দ্রে যাবেন। ভোটকেন্দ্রে থাকা পোলিং কর্মকর্তাকে ভোটারদের পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে।
ভোটার প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরি কার্ড বা পে-ইন স্লিপ দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করবেন। অন্য বর্ষের ভোটাররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড, হল কার্ড বা লাইব্রেরি কার্ড দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করবেন। পরিচয় নিশ্চিতের পর ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা ভোটারের আঙুলে অমোচনীয় কালির দাগ দেবেন ।
এরপর ভোটার তালিকায় নিজের নামের পাশে সই করবেন ভোটার। পরে পোলিং কর্মকর্তাকে ভোটার নম্বর জানাতে হবে। পরিচয় নিশ্চিতের পর ব্যালট নিয়ে ভোটার গোপন ভোট কক্ষে প্রবেশ করবেন। মুঠোফোন বা কোনো ধরণের ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে ভোট কক্ষে প্রবেশ করা যাবে না।
ব্যালট পেপার থেকে পছন্দের প্রার্থীর নাম ও ব্যালট নম্বর খুঁজে বের করবেন ভোটার।
এরপর পছন্দের প্রার্থীর নামের পাশের ঘরে স্পষ্টভাবে ক্রস চিহ্ন দেবেন ভোটার। তবে খেয়াল রাখতে হবে, ক্রস চিহ্নটি যেন ঘরের বাইরে না যায়।
পছন্দের প্রার্থীকে ভোটদান শেষে ব্যালট বাক্সে ব্যালট পেপার জমা দেবেন ভোটার।
কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদের জন্য দুটি আলাদা ব্যালট বক্স থাকবে। ব্যালট পেপার ভাঁজ না করে সেগুলো নির্ধারিত বাক্সে ফেলে ভোটার তাঁর ভোটদানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন।
পাশাপাশি ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোট দিতে হল থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থীর তালিকা পেয়েছে কমিশন। তারা এবার ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোট দিতে পারবেন।