শিক্ষকদের সংগঠন ইউটিএল’র আহ্বায়ক আতাউর রহমান, সদস্যসচিব বিলাল হোসেন

ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল) নামে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নতুন একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। আজ শনিবার (২৬ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র কেন্দ্রে (টিএসসি) এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্ল্যাটফর্মের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
প্ল্যাটফর্মটির উদ্বোধন করেন জুলাই বিপ্লবে শহীদ শিক্ষার্থী ওসমানের বাবা আব্দুর রহমান। সংগঠনটির উদ্যোক্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করবে ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান বিশ্বাসকে আহ্বায়ক করে ৫৩ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। সদস্যসচিব হিসেবে আছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসেন এবং কোষাধ্যক্ষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোশাররফ হোসেন। কমিটিতে সাতজন যুগ্ম আহ্বায়ক, পাঁচজন যুগ্ম সদস্যসচিব এবং ৩৮ জন সদস্য রয়েছেন।
আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আতাউর রহমান বিশ্বাস বলেন, জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা ও ছাত্রসমাজের প্রত্যাশাকে ধারণ করে আমরা সামনে এগোতে চাই। আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ে একদল নির্ভরযোগ্য শিক্ষক-গবেষক প্রয়োজন, যারা দেশের জন্য কাজ করবেন। জ্ঞান ও গবেষণার কাজে বিদেশে থাকা অনেক বাংলাদেশি সন্তান দেশে ফিরতে চান। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে পারলে তারা দেশের সম্পদে পরিণত হতে পারেন। এই চিন্তা থেকেই আমাদের যাত্রা।
সদস্যসচিব ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব বাংলাদেশের জাতীয় চেতনায় এক নতুন জাগরণ সৃষ্টি করেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকদের মর্যাদা সমুন্নত রাখা, অ্যাকাডেমিক সততা নিশ্চিত করা, নিরাপদ ক্যাম্পাস, গবেষণার উৎকর্ষ এবং জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখার লক্ষ্যে ইউটিএল গঠিত হয়েছে। সংগঠনটি রাজনৈতিক আনুগত্যমুক্ত থেকে শিক্ষা, গবেষণা ও জাতীয় দায়িত্ববোধ এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইউটিএলের লক্ষ্য একটি মর্যাদাপূর্ণ, স্বাধীন ও নৈতিকতাসম্পন্ন অ্যাকাডেমিয়া গড়ে তোলা।
ড. বিলাল হোসেন আরও জানান, সংগঠনের নীতির সঙ্গে একমত যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা ইউটিএলের সদস্য হতে পারবেন। গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে এবং একটি সংবিধানও প্রণয়ন করা হবে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, শিক্ষাবিদ এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।