আগস্টে প্রবাসী আয় পাঠানোর শীর্ষে সৌদি, পরেই যুক্তরাজ্য

গত জুলাইয়ের মতো সদ্য বিদায়ী আগস্ট মাসেও বাংলাদেশে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় পাঠানোয় শীর্ষে উঠে এসেছে সৌদি আরব। দেশটির পরের অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য (ইউকে)। এরপরেই রয়েছে মালয়েশিয়া। প্রবাসী আয় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত আগস্টে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে সৌদি আরব থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৩৯ কোটি ৭৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার। এরপর শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় রয়েছে— যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, ওমান, সিঙ্গাপুর, কুয়েত ও কাতার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আগস্টে সৌদি আরবের প্রবাসীরা সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ কোটি ৯৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে যুক্তরাজ্য থেকে। তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৭ কোটি ৬৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে মালয়েশিয়া থেকে। এছাড়া আলোচিত সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, ওমান, সিঙ্গাপুর, কুয়েত ও কাতার থেকে যথাক্রমে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬ কোটি ৫৯ লাখ ৬০ হাজার ডলার, ২৩ কোটি ১৬ লাখ ২০ হাজার ডলার, ১৬ কোটি ৬৮ লাখ ৭০ হাজার, ১৪ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার, ১১ কোটি ছয় লাখ ৩০ হাজার ডলার, ১০ কোটি ৮৪ লাখ ১০ হাজার ডলার ও ৯ কোটি ১৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
এছাড়া বাহরাইন থেকে এসেছে পাঁচ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার ডলার, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চার কোটি ৮৩ লাখ ডলার, ফ্রান্স থেকে তিন কোটি ১৬ লাখ ১০ হাজার ডলার, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে দুই কোটি ২৪ লাখ ১০ হাজার ডলার, গ্রিস থেকে এক কোটি ৬৭ লাখ ৩০ হাজার ডলার, জর্ডান থেকে এক কোটি ৬৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার, কানাডা থেকে এক কোটি ৫০ লাখ ৬০ হাজার ডলার, অস্ট্রেলিয়া থেকে এক কোটি ৩১ লাখ ৮০ হাজার ডলার, স্পেন থেকে এক কোটি ২৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার, জার্মানি থেকে এক কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার ডলার, জাপান থেকে ৯৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার, পর্তুগাল থেকে ৯২ লাখ ডলার, মরিশাস থেকে ৮৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার, ব্রুনাই দারুসসালাম থেকে ৬৮ লাখ ২০ হাজার ডলার, পোল্যান্ড থেকে ৫২ লাখ ৯০ হাজার ডলার, লেবানন থেকে ৫১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, সুইডেন থেকে ৪৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার, ইরাক থেকে ৪১ লাখ ৪০ হাজার ডলার, মালদ্বীপ থেকে ৩৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং সাইপ্রাস থেকে ৩৪ লাখ ১০ হাজার ডলার এসেছে। এছাড়া অন্যান্য আরও বেশ কয়েকটি দেশ মিলে প্রবাসী আয় এসেছে চার কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার।