এপ্রিলের ১২ দিনে প্রবাসী আয় ১২ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা

ঈদের পর এপ্রিলের প্রথম ১২দিনে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স দেশে এসেছে ১০৫ কোটি ২৩ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। যা দেশীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় ১২ হাজার ৭৮৯ কোটি ৩৩ লাখ ১০ হাজার ৮০০ টাকা (প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৫৩ পয়সা হিসেবে)। আজ রোববার (১৩ এপ্রিল) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
পবিত্র রমজানে প্রবাসী আয়ের পালে লেগেছিল হাওয়া। সেই হাওয়ায় গত মার্চ মাসে দেশে রেকর্ড পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছে। কিন্তু এপ্রিলের প্রথম ১২দিন প্রবাসী আয়ের গতি কমেছে। কারণ পবিত্র ঈদুল ফিতরের টানা ছুটি ছিল ৯দিন। এর মধ্যে এপ্রিলের পাঁচদিনও ছিল। এই প্রথম পাঁচ দিনে প্রবাসী আয়ে ভাটা পড়ে। কিন্তু পরের সাতদিন প্রবাসী আয়ের গতি বেড়েছে বলে জানান ব্যাংক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের এপ্রিলের প্রথম ১২দিনে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় দেশে এসেছে আট কোটি ৭৬ লাখ ৯৭ হাজার ডলার। আগের বছরের (২০২৪ সাল) এপ্রিলে প্রবাসী আয় এসেছিল ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। আর মাসটিতে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল ছয় কোটি ৮১ লাখ ৪১ হাজার ডলার। এই সময়ের ব্যবধানে চলতি মাসের প্রথম ১২দিনে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় বেড়েছে ২৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। অন্যদিকে চলতি বছরের মার্চে প্রবাসী আয় এসেছিল ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার। মাসটিতে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল ১০ কোটি ৬৩ লাখ ১০ হাজার ৬৪৫ ডলার।
চলতি এপ্রিলের প্রথম ১২দিনে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ৫৯ কোটি তিন লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৯ কোটি ৬৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার এবং বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ছয় কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এছাড়া বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২৩ লাখ ডলার।
দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে এপ্রিলের প্রথম ১২দিনে একক ব্যাংক হিসেবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে প্রবাসী আয় ২৪ কোটি ৮৬ লাখ ৯০ হাজার ডলার এসেছে। প্রবাসী আয় আসার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইসলামী ব্যাংকের। ব্যাংকটির মাধ্যমে এসেছে ১৫ কোটি ৮৮ লাখ ২০ হাজার ডলার। এরপর ট্রাস্ট ব্যাংকের মাধ্যমে আট কোটি ৪৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, ব্র্যাক ব্যাংকের ছয় কোটি ৮৬ লাখ ডলার,জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে ছয় লাখ ৪০ হাজার ডলার, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ছয় কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে পাঁচ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার এসেছে।