অফসিজনে তরমুজ চাষে খুলনার কৃষকরা পাচ্ছেন ভালো লাভ

বর্ষার পর শরতের আগমনের সঙ্গে খুলনায় রসাল তরমুজের চাষ ও ফলন কৃষকদের জন্য নতুন আশা বয়ে এনেছে। সাধারণত গ্রীষ্মকালীন এই ফলটি এখন বর্ষা ও শরতেও চাষ করা হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, খুলনার বটিয়াঘাটা, রূপসা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা ও দিঘলিয়া উপজেলায় চলতি অর্থবছরে ৯৬৬ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। এ থেকে প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। মাচায় চাষ হওয়ায় পানি জমলেও ফলন ভালো এবং দামও ঠিক রয়েছে।
কৃষকরা জানান, পাইকাররা ক্ষেত থেকেই কেজি প্রতি ৪০-৫০ টাকা দরে তরমুজ কিনে নিচ্ছেন। এক বিঘা জমিতে গড়ে ২০-২৫ হাজার টাকার খরচে ১ লাখ টাকারও বেশি লাভ হচ্ছে। সরকারি সহায়তা ও মাঠ পর্যায়ের প্রশিক্ষণের ফলে অফসিজনে তরমুজ চাষে সফলতা পেয়েছেন তারা।
খুলনা অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কৃষকদের শুধু বীজই দেওয়া হচ্ছে না, পাশাপাশি তরমুজ চাষে ভালো ফলনের জন্য নিয়মিত মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। অফসিজনে তরমুজ চাষে সফলতা পাওয়ায় এ আবাদ সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরও জানান, শুধুমাত্র খুলনা নয়, উপকূলীয় অন্যান্য জেলাতেও অসময়ে তরমুজ চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।