নোয়াখালীর মানুষের বিভাগ চাওয়া যৌক্তিক : ব্যারিস্টার খোকন

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, নোয়াখালীর মানুষের বিভাগ নিয়ে যে দাবি সেটি যৌক্তিক।
আজ শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর পল্টনে নোয়াখালী ক্লাব-ঢাকা লিমিটেডের মিলনায়তনে নোয়াখালী জার্নালিস্ট ফোরাম-এনজেএফ, ঢাকার উদ্যোগে আয়োজিত ফল উৎসবে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, নোয়াখালীর মানুষের বিভাগ নিয়ে যে দাবি সেটি যৌক্তিক। নোয়াখালীতে বিমান বন্দর ও বিভাগ হলে আর চাপ পড়বে না চট্টগ্রামের উপর। বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি জেলা হলো নোয়াখালী। তাই এই জেলায় বিমানবন্দর ও সমুদ্র বন্দর হলে নোয়াখালীর অর্থনীতি আরও গতি পাবে। তিনি আরও বলেন, শুধু ঢাকা শহর নয় সারা বিশ্বে নোয়াখালীর মানুষ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। মানুষ বলে নোয়াখালীর মানুষকে চাঁদেও দেখা যায়। এই কথাটি এম্নেই বলে না, আমাদের মধ্যে যে ধৈর্য ও পরিশ্রম সেটার কারণে এই কথা বলে।
অনুষ্ঠানে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে চাঁদা না দেওয়ায় সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা হত্যার প্রতিবাদ জানান মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নিন্দা জানাই। একই সাথে এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে দ্রুত তাদের বিচারের দাবি করছি।
কেন আইন হাতে তুলে নিচ্ছে মানুষ, এমন প্রশ্ন রেখে এ্যাডভোকেট মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আমরা তো চার পাঁচ হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছি, বহিষ্কার মানে কি দায় স্বীকার? মোটেও দায় স্বীকার না। আমরা তাদের বর্জন করলাম। আমরা আমাদের বিএনপি পরিবার থেকে তাদেরকে বের করে দিলাম। দল থেকে বের করে দেওয়া মানে সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই, কিন্তু পুলিশ এইসব লোকদেরকে গ্রেপ্তার করল না কেন, তা জানতে চাই। তিনি বলেন, অপরাধ থাকতেই পারে। কিন্তু এদেরকে গ্রেপ্তার করার দায়িত্ব সরকারের। সরকার কেন সে দায়িত্ব পালন করছে না?
দেশের বিভিন্ন থানাগুলোতে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির নেতারা ভীড় করেন, সন্ধ্যার পর থানার ভিতর আড্ডা মারেন উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের এ আইনজীবী আরও বলেন, কেন পুলিশ তাদেরকে থানায় জায়গা দিবে। সরকার নিরপেক্ষ, তাই পুলিশকেও নিরপেক্ষ থাকতে হবে। কেন দলীয় লোকজন থানার ভিতরে গিয়ে সালিশ করবে। এগুলো অবলিম্বে বন্ধ করতে হবে। মব জাস্টিস বন্ধ ও ফেসবুকে গুজব ছড়ানো লোকদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান মাহবুবউদ্দিন খোকন।
এনজেএফের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস কে সৌরভের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক এফআই মাসউদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সালেহ মো. অলক, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মো. শহীদুল ইসলাম, নারী বিষয় সম্পাদক ফাতেমা কাউসার, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী জিএস সুমন, বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম বিএসআরএফ'র সহ-সভাপতি মাইনুল হোসেন পিন্নু, সিনিয়র সাংবাদিক হেদায়েত হোসেন, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদগণ। এছাড়াও সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।