চট্টগ্রামে বাসচাপায় ১১ জন নিহতের ঘটনায় ঘাতক চালক গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া থানাধীন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে শিশুসহ ১১ জন মাইক্রোবাস যাত্রী হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাসচালক মো. সোহেল তালুকদারকে (২৭) রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭ চট্টগ্রাম ও র্যাব-৪, ঢাকা।
গতকাল রোববার (৬ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিরপুর মডেল থানাধীন আনসার ক্যাম্প এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সোহেল তালুকদার ঢাকার দক্ষিণখান থানার ফরহাদাবাদ এলাকার বাসিন্দা।
র্যাব জানায়, গত ২ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানাধীন চুনতি এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে আসা রিলাক্স পরিবহণের একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিলে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন মাইক্রোবাসের যাত্রী মো. রফিকুল ইসলাম, তার স্ত্রী, দুটি শিশু সন্তানসহ আত্মীয়-স্বজন মিলিয়ে মোট ১১ জন।
নিহতরা ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে ১ এপ্রিল একটি মাইক্রোবাসযোগে কক্সবাজার ভ্রমণের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু পথিমধ্যেই ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। দুর্ঘটনার পরপরই ঘাতক বাসটি ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে বাসচালক পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর নিহত মো. রফিকুল ইসলামের শ্যালক মো. রবিউল হাসান সুজন বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় রিলাক্স পরিবহণের অজ্ঞাতনামা বাস চালকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-৭, চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এ আর এম মোজাফ্ফর হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন, মামলার অজ্ঞাতনামা আসামি বাসচালক মো. সোহেল তালুকদার রাজধানীর মিরপুর এলাকায় আত্মগোপন করে আছে। পরে গতকাল রোববার (৬ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে র্যাব-৭ চট্টগ্রাম এবং র্যাব-৪ ঢাকার যৌথ অভিযানে ঢাকা মহানগরীর মিরপুর মডেল থানাধীন আনসার ক্যাম্প এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘাতক চালক মো. সোহেল তালুকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মো. সোহেল তালুকদার স্বীকার করেন, তিনি রিলাক্স পরিবহণের বাস বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটিয়েছিলেন।