ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা রেলস্টেশনে প্রায় তিন ঘণ্টা বিলম্ব হয়, যা শত শত যাত্রীর জন্য চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে নারী, শিশু ও প্রবাসী যাত্রীরা অতিরিক্ত কষ্টে পড়েন।

আজ রোববার (১৫ জুন) সকালে এই ট্রেনটি কসবা স্টেশনে সকাল ৮টা ২৪ মিনিটে পৌঁছানোর কথা থাকলেও ট্রেনটি সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে পৌঁছায়। দীর্ঘ বিলম্বের কারণে স্টেশনে অপেক্ষমান যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দেয়।

প্রবাসী যাত্রী আশিক মিয়া জানান, তিনি দুপুর ২টার ফ্লাইট ধরতে সকাল ৮টায় স্টেশনে এসেছিলেন, কিন্তু এখনও নিশ্চিত নন সময়মতো ঢাকায় পৌঁছাতে পারবেন কিনা। তিনি সরকারের প্রতি যাত্রীসেবার মান উন্নয়নের আহ্বান জানান।

অন্য যাত্রী গোলাম হাক্কানী বলেন, টেলিভিশনে রেল উন্নয়নের অনেক কথা শোনা যায়, কিন্তু বাস্তবে ভোগান্তি ছাড়া কিছুই দেখা যায় না। তিনি বলেন, আমরা ভ্যাট-ট্যাক্স দিই, কিন্তু সেবা পাই না।

পরিবার নিয়ে অপেক্ষমান রফিকুল ইসলাম জানান, ট্রেন দেরি করায় ওয়েটিং রুমে গিয়েছিলেন, কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত চেয়ার না থাকা ও অপরিষ্কার পরিবেশের কারণে ভোগান্তি বেড়ে যায়।

কসবা রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ট্রেন বিলম্বিত হয়েছে। যাত্রীদের ধৈর্য ধরার অনুরোধ করা হয়েছে।