এক্সপ্রেসওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে থেমে থাকা রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কায় নারীসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন– আব্দুস সামাদ ফকির, তাঁর ছেলে বিল্লাহ ফকির, মেয়ে আফসানা ও অ্যাম্বুলেন্স চালক। অপরজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুর ১টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানের নিমতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতরা জানান, তাদের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার মিঠাপুকুর এলাকায়। বিল্লাল ফকিরের স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩০) অন্তঃসত্ত্বা। চলতি মাসের ২৩ তারিখ তাঁর বাচ্চা প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ। তবে গতরাত থেকে তাঁর ব্যথা হচ্ছিল। এজন্য সকালে একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে তাতে পরিবারটির ১০ জন মিলে ঢাকায় আসছিলেন। ঢাকার ধানমণ্ডি এলাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার কথা ছিল। অ্যাম্বুলেন্সে করে রওনা দেওয়ার পর এক্সপ্রেসওয়ের নিমতলা এলাকায় আসার পর এম্বুলেন্সের চাকা ব্লাস্ট হয়ে যায়। এরপর রাস্তার ডান পাশে চাপিয়ে চাকা মেরামত করছিলেন চালক। আর তারা কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে এবং কয়েকজন পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। মেরামত প্রায় শেষের দিকে গোল্ডেন লাইন পরিবহণের একটি বাস পেছন থেকে এসে সজোরে অ্যাম্বুলেন্সে ধাক্কা দেয়। এ সময় বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই এক নারীর মৃত্যু হয়। এ ছাড়া অ্যাম্বুল্যান্সের ভেতরে ও বাইরে থাকা আরোহীরা গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে চারজনকে মৃত ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী।
হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, নিমতলা এলাকায় একটি অ্যাম্বুলেন্সে বাস ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে একজন মারা যান। আর আহতদের সবাইকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরে শুনেছি আরও চারজন সেখানে মারা গেছেন।
ঘটনাস্থলে যে নারী নিহত হয়েছেন তার মরদেহ পুলিশ হেফাজতে আছে। বাস, অ্যাম্বুলেন্স দুটিই জব্দ করা হয়েছে।