পর্নোগ্রাফির অভিযোগে দুই নারী কারাগারে

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে ফেমডম সেশনের নামে নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি প্রচারের অভিযোগে দুই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ভাটারা থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার দুই নারী হলেন শিখা আক্তার (২৫) ও সুইটি আক্তার জারা (২৫)।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
গতকাল বুধবার (৩০ এপ্রিল) দিনগত রাত ৩টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জি-ব্লকের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত হতে বিকৃত যৌন কাজে ব্যবহৃত একটি চাবুক, পরিধেয় বিশেষ পোশাক, হাই হিল বুট জুতা ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
তালেবুর রহমান আরও জানান, মো. আব্দুল্লাহ গত বুধবার ফেসবুকের মাধ্যমে একটি অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করেন। সেখানে পুরুষদের উলঙ্গ করে শারীরিক নির্যাতন ও বিকৃত যৌনাচারের ভিডিও প্রচার করা হয়। এই কার্যকলাপে জড়িত ব্যক্তিরা টেলিগ্রাম ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব ভিডিও ছড়িয়ে দেয়। জড়িত নারীরা নিজেদের "মিসট্রেস" হিসেবে পরিচয় দেন এবং পুরুষরা টাকার বিনিময়ে তাদের কাছে নির্যাতিত হতে আগ্রহী হন, যা ‘ফেমডম সেশন’ নামে পরিচিত। বাদী আব্দুল্লাহ শিখা আক্তার নামে একজনের সঙ্গে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ করেন এবং তাদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে ৫০০ টাকা দেন। পরবর্তী সময়ে তাকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় যেতে বলা হয়। আব্দুল্লাহ ৩০ এপ্রিল সেখানে যান। গিয়ে দেখতে পান শিখা আক্তার ও সুইটি আক্তারসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজন একজন পুরুষকে বিবস্ত্র করে শারীরিক নির্যাতন করছেন এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করছেন। এ ঘটনায় বাদী আব্দুল্লাহর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভাটারা থানায় একটি নিয়মিত মামলা করেন।
গ্রেপ্তার করা দুই নারীকে আদালতের মধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং এই চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।