পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে রোহিঙ্গা খ্রিষ্টান শরণার্থীদের শোক

বাংলাদেশের রোহিঙ্গা খ্রিষ্টান শরণার্থী সম্প্রদায় তাদের পবিত্র পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে ক্যাথলিক চার্চ ও বিশ্বব্যাপী খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে। আজ বুধবার (২২ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে রোহিঙ্গা খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি পিটার সাইফুল এ সমবেদনা শোক প্রকাশ করেছেন।
পিটার সাইফুল বলেন, ‘যদিও আমরা খুব কম ও প্রায়শই উপেক্ষিত মানুষ—ছত্রভঙ্গ, প্রান্তিক এবং তীব্রভাবে পীড়িত—আমাদের হৃদয় একজন প্রিয় রাখালের মৃত্যুতে শোক প্রকাশে সর্বজনীন চার্চের সাথে যুক্ত। পোপ ফ্রান্সিস ছিলেন প্রান্তিকদের জন্য আশার আলো, কণ্ঠহীনদের জন্য কণ্ঠস্বর এবং এমন একজন মানুষ যার নম্রতা এবং হৃদয়ের বেদনা বিশ্বজুড়ে মানব অভিজ্ঞতার গভীরতা স্পর্শ করেছিল।’
সম্প্রদায়টি ২০১৭ সালে পোপের ঐতিহাসিক বাংলাদেশ সফরকে গভীর আবেগের সঙ্গে স্মরণ করে, যে সময় তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সাইফুল আরও বলেন, ‘একজন নির্যাতিত ও বাস্তুচ্যুত মানুষের সদস্য হিসেবে, আমরা পোপ ফ্রান্সিসের মধ্যে দুঃখকষ্টের প্রতি খ্রিষ্টের সহানুভূতি ও সংহতি প্রত্যক্ষ করেছি। সেই সাক্ষাৎ আমাদের সম্প্রদায়ের জন্য একটি গভীরভাবে মর্মস্পর্শী এবং অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা।’
পোপ ফ্রান্সিস ধারাবাহিকভাবে শরণার্থীদের অধিকার ও মর্যাদার পক্ষে ছিলেন। তাঁর অনেক আবেদনের মধ্যে একটিতে তিনি একবার ঘোষণা করেছিলেন, ‘খ্রিষ্টানের মতো জীবনযাপন না করে আপনি খ্রিষ্টান হতে পারবেন না ও বিটিটিউড অনুশীলন না করে আপনি খ্রিষ্টান হতে পারবেন না। বিটিটিউডগুলোর মধ্যে একটি হল অপরিচিত ব্যক্তিকে স্বাগত জানানো।’