রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাপানের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে : রাষ্ট্রদূত

টোকিও বাংলাদেশ সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে অর্থায়ন সহায়তা ও সহযোগিতা প্রদানের পাশাপাশি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নবনিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি। রোববার (২০ এপ্রিল) কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
জাপানি দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রদূত সাইদা ক্যাম্পে নিবন্ধন কেন্দ্র, খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র, শিক্ষণ কেন্দ্র ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, জীবিকা দক্ষতা উন্নয়ন ও উৎপাদন কেন্দ্র, উদ্ভাবন ভ্যালি, নারী-নেতৃত্বাধীন কমিউনিটি সেন্টার এবং কমিউনিটি ইনিশিয়েটিভ সোসাইটি প্রকল্প সাইট পরিদর্শন করেছেন।
মাঠ পর্যায়ে চলমান কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে এটি আমার প্রথম সফর। আন্তর্জাতিক সহায়তা হ্রাসের ফলে ক্যাম্পগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি আমি উপলব্ধি করতে পারছি।’
কক্সবাজারে দশ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা বসবাস করছে উল্লেখ করে জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, এদের সমস্যার সমাধানে জাপান কাজ চালিয়ে যাবে।
রাষ্ট্রদূত কক্সবাজার জেলায় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের উন্নয়নে জাইকার প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানেও যোগ দেন।
রাষ্ট্রদূত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
২০১৭ সালের আগস্টে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা আসার পর থেকে, জাপান বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও এনজিওগুলির মাধ্যমে কক্সবাজার ও ভাসান চরে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে ২৫ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থ প্রদান করেছে। এই সহায়তার মধ্যে রয়েছে খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা, ওয়াশ, আশ্রয়, সুরক্ষা এবং নারীদের লিঙ্গ মূলধারায় সম্পৃক্তকরণ।
এ ছাড়াও, গত বছরের সেপ্টেম্বরে, জাপান সরকার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরসহ উত্তর ও দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার (ইউএনএইচসিআর) এবং জাতিসংঘের শিশু তহবিলকে (ইউনিসেফ) এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।