সাবেক সংসদ সদস্য বেনজীর ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ঢাকা-২০ (ধামরাই) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ ও তার স্ত্রী সাহিনা আহমদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর দুদক কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আক্তার হোসেন বলেন, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বেনজীর আহমদের নামে মোট ১৮ কোটি ১৮ লাখ ২০ হাজার ৩১ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। পারিবারিক ও অন্যান্য খরচ বাদে তার বৈধ উৎস থেকে অর্জিত অর্থ পাওয়া যায় ১৮ লাখ ৬৭ হাজার ৭০ টাকা। এ ক্ষেত্রে বেনজীর আহমদের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায় ১৭ কোটি ৯৯ লাখ ৫২ হাজার ৯৬১ টাকা। এ ছাড়া বেনজীর আহমদ ও তাঁর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ১১টি ব্যাংক জমা ও উত্তোলনসহ মোট ৮৪ কোটি ৪২ লাখ আট হাজার ২৫৫ টাকা টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরপূর্বক আয়ের উৎস আড়াল করেছেন মর্মে অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।
ফলে অনুসন্ধান টিমের সুপারিশের বেনজীর আহমদের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ সনের ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) এবং ৪(৩) ধারায় একটি মামলা করা হয়েছে বলেও জানান দুদক মহাপরিচালক।
দুদক মহাপরিচালক আরও জানান, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাহিনা আহমদ এক কোটি ২৩ লাখ ২১ হাজার ৫৫২ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। তার বৈধ উৎস হতে অর্জিত অর্থ পাওয়া যায় ২৫ লাখ ৭৪ হাজার ১৬৭ টাকা। এ ক্ষেত্রে তাঁর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায় ৯৭ লাখ ৪৭ হাজার ৩৮৫ টাকা।
অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাহিনা আহমদ তাঁর স্বামী বেনজীর আহমদের সহায়তায় অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে অসাধু উপায়ে অর্জিত এবং জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এ সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ-দখলে রেখেছেন তা অনুসন্ধানে প্রমাণ হয়েছে। ফলে অনুসন্ধান টিমের সুপারিশে (১) সাহিনা আহমদ ও (২) বেনজীর আহমদের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় আরো একটি মামলা করা হয়।