সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে মত পাঠাবে ইসি

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে গঠিত কমিশনের দেওয়া সুপারিশের মধ্যে আশু বাস্তবায়নযোগ্য নয়টি সুপারিশে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সরকারের কাছে মতামত দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা জানিয়েছেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (সংশোধন); নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন, ২০০১ (সংশোধন); নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ সংশোধন; নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও গণমাধ্যম নীতিমালা (স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক) পর্যবেক্ষণ ও সাংবাদিক নীতিমালা (সংশোধন); রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ সংশোধন; নির্বাচনি আইনে প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে রাজনৈতিক ও নির্বাচনি অর্থায়নে স্বচ্ছতা ও শুদ্ধাচার চর্চা নিশ্চিত করা বিষয়ক নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ওপর ইসি এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগকে প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছিল।
ইসি সূত্র বলছে, এ ছাড়া হলফনামার খসড়া, ভোটার তালিকা হালনাগাদ (প্রবাসী) কাজ শুরু করা ও পোস্টাল ব্যালট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার বিষয়ে সুপারিশের ওপর নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব চাওয়া হয়েছিল। সেগুলো নিয়ে কাজ চলছে ইসির। অতি দ্রুত এসব আশু বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশের বিষয়ে সরকারকে মতামত জানানো হবে।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন থেকে বাছাই করে বাস্তবায়নযোগ্য ৯টি সুপারিশের ওপরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রস্তাব চেয়েছে সরকার। কবে নাগাদ সরকার প্রস্তাব দেবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে আজ নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, সংস্কারের ব্যাপারে যেভাবে সরকার থেকে পদ্ধতি নেওয়া হবে সেভাবে হবে। তবে আশু বাস্তবায়নযোগ্য সংস্কার পাঠানোর জন্য সরকার থেকে পাঠানো চিঠির প্রেক্ষিতে আমরা ৩০ এপ্রিলের মধ্যে মতামত পাঠাব।
জানা গেছে, রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে সংস্কারের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার অনুশাসন মোতাবেক ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। ইতোমধ্যে ছয়টি কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এরমধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন জমা দিয়েছে সরকারের কাছে। সেসব প্রতিবেদন থেকে আশু বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবসমূহ চিহ্নিত করে আইন উপদেষ্টা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে গত ১৩ মার্চ অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সংস্কার কমিশনসমূহের বাছাইকৃত আশু বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়/বিভাগ নির্ধারিত ছকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রস্তাব পাঠাবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। এরই প্রেক্ষিতে ইসি সচিবকে নয়টি বিষয় সুনির্দিষ্ট উল্লেখ করে চিঠি দেয় সরকার। এক্ষেত্রে সুপারিশগুলোর কিছুর বিষয়ে কেবল ইসিকে আর কিছু বিষয়ে ইসি এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগকে প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছিল।