খুলনার তেরখাদা উপজেলায় ওষুধ ব্যবসায়ীকে হত্যা মামলায় ১৩ আসামির মধ্যে চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় অপর চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন ফরিদ মোল্লা, মেজবাহ মোল্লা, মোরতোজা ও টুটুল। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মোস্ত মোল্লা, সেলিম শিকদার, নাসির শিকদার, মেহেদী মোল্লা ও শহিদুল শিকদার। রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোরতোজা ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মেহেদী অনুপস্থিত ছিলেন।

খালাস পাওয়া চারজন হলেন খালিদ মোল্লা, নাজমুল শিকদার, রাজা শেখ ও ওসমান ফকির। আসামিরা সবাই তেরখাদা উপজেলার কাটেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।

রাষ্ট্রপক্ষে সরকারি কৌসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট এম ইলিয়াস খান জানান, ২০১০ সালের ১৫ আগস্ট রাতে তেরখাদা উপজেলার কাটেঙ্গা গ্রামে ওষুধ ব্যবসায়ী ফিরোজ শেখকে পূর্ব শত্রুতার জেরে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গভীর রাতে তাঁর মৃত্য হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই হিরু শেখ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে তেরখাদা থানায় হত্যা মামলা করেন।

২০১৩ সালের ৬ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আব্দুর রাজ্জাক ১৫ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ৩০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক এ রায় দেন।